_____সজনের পাতা ঝরা দিন
সজনের পাতা ঝরা দিন
পৌষের সকাল ঘাসের ডগায়; শিশিরের ফোটা
কুয়াশায় ঢাকা লাউফুলে ফড়িং এর ডানা ভেজা।
মাকড়ষা জাল বুনে
টোপ ফেলেছে শিশির ঘাণে; পোকামাকড় ভেজা জালে
গেঁথে থাকে শীতের কাঁপনে।
উত্তরের ক্ষেপ শীতল বায়ু
তির তির করে কাঁপে, ঘাসের ডগায় শিশির ফোটা
সজনে ডালে ডানা ঝাপটায় তিলা ঘুঘুজোড়া।
মেঠো পথের ধুলো ভিজে সারা
মাদার ফুলের লাল পাঁপড়ি; দুর্বাঘাসে পরে রয় অভিমানে
আগাছার ঝাড়ে বুনো শিউলি ঝরে থাকে।
_________ কুয়াশার চাদরে সন্ধ্যাবতী গাঁও
সন্ধ্যাবতীর গা ঘেঁসা খালের টলটলে জল। সন্ধ্যাবতীর জলছবি ভাসে। কুয়াশা রাঙা সকালে শিশিরের ঘ্রাণ। খেজুরের শীতল রসে ঠোঁট ভেজায় লালঝুটির বুলবুলি। মৌমাছিরা গান গায় গুন গুন করে। একঝাঁক চড়ুই পালক ফুলিয়ে, শিশির ভেজা উঠানে কিচির মিচিরে মাতে। একদল হাস শিশির মাখা খালে জলে ভাসে। মৃদু হাওয়ায় জলের কাঁপন। মৃদু ঢেউ যেন জলের মৌনতা ভাঙ্গে। কুয়াশার চাদরে সন্ধ্যাবতী গাঁও, কাঞ্চজঙ্ঘার আবির বিলায়।
_______কুয়াশায় পৌষ শিশির
কুয়াশায় পৌষ শিশির
উঠান ভিজে যায় পুঁই মাচা ভিজে সারা।
ডালিম ডালে টোনাটুনির বাসা
আমলকির ঝির ঝিরে পাতা ঝরে
কইতরের বাগবাগুম ডাক ভাের সকালে।
কুয়াশার আবির মাখা পথে
পথিক যায় হেঁটে ক্ষেতের আইল পথে
পথিকের পা ভিজে শিশিরে।
খেজুর গাছে হাঁড়ি ভরা কাঁচারস
মিষ্টি রসে চুমুকের নেশা শৈশবে
কোজাগরি চাঁদের কুয়াশার আলো
কাঁচা রসের ক্ষিরে কৈশর ছিপ ফেলে।
১৪২৪/৪ পৌষ/শীতকাল।