*(আপাতত উৎসর্গ করছি 'নাই বা হল জানা' কে)*
---- ---- ---- ----
মাফ করবেন,
কবিতাকে নিয়ে আপনাদের কাছে কোনও কথাই বলব না।
এ আমার একান্ত আপন সুতীব্র ঘোষণা।


আপনারা যা খুশি বলতে পারেন, ভাবতে পারেন,
ছিঃ ছিঃ করতে পারেন, দুয়ো দিতে পারেন, যা খুশি…
আর আমি, এই সবকিছু পিছনে ফেলে
আপনাদের সামনে দিয়ে… এই সন্ধ্যায়…
কবিতাকে নিয়ে চলে যাব।


চলে যাব সজল মাঠ শ্যামলী নদী পার হয়ে
দুধ-সাদা পাহাড়ের মাথায়
নিখাদ নিলাজ কবিতার টান টান শরীরে
ঢেলে দেব শুদ্ধ হলাহল – মুগ্ধ সোমরস
আপাদশিখর জিভ দিয়ে টেনে নেব নিজের ভেতর।
যন্ত্রণার তীব্র মালকোষে আর উত্তপ্ত লাভাস্রোতে
জন্ম নেবে এক জলজ উপাখ্যান
কবিতার শরীর ভেঙে ভেঙে…


সেই সজলের স্রোতধারা আমাকে ভাসিয়ে নেবে।
আজন্ম অনাঘ্রাতা কুমারী কবিতার
ঠোট-চিবুক-স্তন-যোনী পার হয়ে পৌছে যাব পদমূলে
বিলীন সাগরের সফেদ ফেনায় নোনা রক্ত-ঘামে।


এ-নিয়ে আপনাদের আর কীই বা বলার থাকতে পারে!


কবিতা তো আমার একান্ত আপন কামনার ধন।
তার কাঁধে হাত রেখে ধীর পায়ে হেটে যাব
অবুঝমারের গভীর জলপাই জঙ্গলে
জোনাকির মুক্তাখচিত রাতে
নিষাদের দামামায় মুড়ি-গোণ্ডদের প্রাকৃত মদে
জমে উঠবে আমাদের যৌবনের উল্লাস।


দাউ দাউ আগুনের নীলচে শিখায়  
দাহনের শেষ পর্বে
জন্ম নেবে খিদের মহাকাব্য
আর, মরুর তৃষ্ণা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব
কবিতার শরীরের অণু-পরমাণু কোষে কোষে
বেহুলার বাঁশি আর দুন্দুভিনিনাদে।


তারপর,
কুমারী অনাঘ্রাতা কবিতাকে নিয়ে
নবীণা ঊষাকে সাক্ষী রেখে
ঝর্ণা অবগাহণের পর
একটি সবুজ পাহাড়
রূপোলি নদী
আর ভবিষ্যতের মহীরুহের কচি পায়ে
আভূমি প্রণত আমি
ঘুমিয়ে পড়ব হিমালয়ের কোলে মাথা রেখে
কন্যাকুমারীতে পা।
আমার এক হাত ছুঁয়ে থাকবে কচ্ছের রান
অন্যহাত নাগা পাহাড়ের চূড়া।
আমার পিঠের ওপর
আদিম অধিবাসীদের হৈ-হৈ রাতের নগ্ন সৃজনোল্লাসে
লেখা হবে নতুন কবিতা।


আমার মাথার কাছে উঁচনো বেয়নেটের মাথায়
ডানা মেলে উড়ে এসে বসবে প্রজাপতি।


এ-নিয়ে আপনাদের আর কীই বা বলার থাকতে পারে।
---- ---- ---- ----