**(শতবর্ষে আশাপূর্ণা দেবীকে)**


বৃষ্টিভেজা মাঠ পেরিয়ে
অশান্ত মন হাঁটতে গিয়ে
লাগল বুঝি ঘাষের কুঁচি?
ছুঁয়ে গেল দুষ্টু ফড়িং!
চমকে যখন দেখবে তুমি,
জানবে, সেটা আমিই ছিলাম।


পথের ধারে হাসনুহানা
মেঘলা দিনে একলা মনে
অকাতরে সুবাস বিলায়
মনখারাপের শর্ত সেখায়
জানবে তখন বাতাসজুড়ে
সুবাস হয়ে আমিই ছিলাম।


নীলাম্বরী অপরাজিতার
ঝোপের পাশে, কদমফুলে
ব্যাঙের ডাকে বর্ষা এলে
কলাপ মেলে নাচবে তুমি
ময়ুর হয়ে নূপুর পায়ে
রুনু-ঝুনু আওয়াজ তুলে
জানবে সেদিন তোমার পায়ে
নূপুর হয়ে আমিই ছিলাম।


মেঘ জমলে বিকেল বেলা
উদাস বাঁশির হা-হা-কারে
হৃদয়জুড়ে প্রলয় ঝড়ে
কূল-ছাপানো বন্যা হয়ে
পার-ভাঙা স্রোত উথালপাথাল
তাকিয়ে দেখবে আকাশজুড়ে
কৃষ্ণমেঘে আমিই ছিলাম।


ভাঙল মেলা মিলনখেলা
স্বপ্নমেদুর সাঁজের বেলা
দিনযাপনের টুকরোটাকরা
একলা পিঁড়ি রান্নাঘরের
তুলসীতলায় নেভা প্রদীপ
কান্নাভেজা চোখের পাতা
অশ্রুরাশির প্রতি কণায়
জেনো তুমি, আমিই ছিলাম।


আমিই আজও ছড়িয়ে আছি
অশ্রুরাশির প্রতি কণায়।।
--------------------------
(আগের লেখা। এখনও কোথাও ছাপাই নি।)