রাত ঘন হলে লম্পট চাঁদ
জ্যোৎস্নার আঙ্গুলে বাজায় নদীর শরীর
শিহরণ তুলে চলে ফেরে চাঁদের আঙ্গুল
নদীর জলশরীরে আপাদমস্তক
শিহরণে কাঁপন লাগে ঘূর্ণি লাগে
ঢেউ ভাঙে ফের জাগে কামুক নদীতে


লম্পট চাঁদের সঙ্গে নদীর ছলাকলা
চুপ করে দেখে যায় মাতা বসুমতী
সুদূর চাঁদের টান তাকেও তো কতদিন
রেখেছে উন্মনা করে সারা দিনরাত।
শান্তমুর্তি সে, পারেনি উচ্ছল হতে,
পেরেছে তারই কন্যা সজলা রুজানা


আপন গাম্ভীর্য ছেড়ে মেয়ের কলায়
মুগ্ধ আজ মহীরাজও, দেখে চুপচাপ।
আকাশচুম্বী তাঁর দৃঢ়তার কাছে এসে
কতদিন ফিরে গেছে প্রিয় নষ্টচাঁদ।
কই, বলেনি তো তাঁর নদীপ্রেম-কথা!


কামনায় অপ্রতিরোধ্য শরীরের ডাকে
নদী গেছে হারিয়ে চাঁদের খেলায়
ভুলেছে অপেক্ষমান দয়িত সাগরের কথা।
দু'কুল ছাপিয়ে যেতে মন চায় তাঁর।
শরীরের কোষে কোষে চাঁদের আঙ্গুলে
বেজে চলে তীব্র মালকোষ, ভৈরবী, ইমন!


দেখুক দয়িত তাঁর, যা খুশী ভাবুক!
ওর বুকে মাথা রেখে চিরশান্তি আসে।
পেরেছে কি কোনদিন মাতাল করতে?
ছুটেছে কি তাঁর সঙ্গে আ-পাহাড় পথ?
আজ রাত তাঁর গোপন অভিসার
লম্পট চাঁদের সাথে নিষিদ্ধ প্রণয়।