শেষ ঘোড়ায় সওয়ার তুমি ছুটে যাছ আলোয়
স্যাংচুয়ারির গহণ থেকে কয়লাখনির পেটে
সাগর থেকে পাহাড়-বনে সকালে সন্ধ্যায়
ঝলসে উঠছে তীক্ষ্ণ কলম আধার-মানিক জ্বালা
ট্রিগারে আঙ্গুল, আস্তিনে ছোরা, চিহ্নিত অপরাহ্নে
প্রতিটি গ্যালপে রূপোলি ঝিলিকে বর্ষণ জমকালো
অমিত-শক্তি ছোটা উড়িয়ে অশ্বক্ষুরের ধুলো


ভারতজুড়ে বন-কাঁপানো মাদলের তাল বেয়ে
বাঁশির দূরে হিসহিসিয়ে নাচ জাগছে গাঁয়ে
আসছে ছুটে উটের মত পরিশ্রমী মানুষ
ফুটপাথে ভিড় গ্রামীণ ক্ষিধে ঘিরে নিচ্ছে শহর
স্বপ্নে ফিনিক ধানের বন্যা, ভাঙা মালসায় সুধা
আশিরনখর তীব্র দহণ ডাঙা ভাঙছে নদী
ছা-বুড়ো-জোয়ান সবাই এবার চোখটি মেল যদি


তীব্র গতির ঘোড়সওয়ার কাঙাল করা মিতা
গঙ্গা-মেকং-ভলগা শোনায় জীবনের সংহিতা
মরচে ধরা রাবণ-বধের তলোয়ারের ঝলক
ছিটকে দূরে কাঠের চেয়ার, তুচ্ছ কয়েদখানা
ভিত টলে যায়, ঈর্ষা জাগায় অনুগতের বুকে
জাগছে মানুষ, অথচ, তুমিই চলে যাচ্ছ দূরে
অশ্রু-ঘাম ও সাহসের খোলা কবিতার খাতা
তোমার গলায় বাজছে – ভাল আছো কলকাতা?