থানার ঘণ্টা নিস্তব্ধ রাতের নিরবতা ভেঙ্গে জানান দিলো সময় রাত দুইটা। দেয়ালে ঝোলানো ঘড়িটি অবিরত ভাবে টিকটিক  টিকটিক ধ্বনি তুললেও বোঝার উপায় নেই কারণ চোখে শুধুই অন্ধকার , কালো অন্ধকার।


শুধু শুনি শব্দ , নানা কিসিমের শব্দ।


কিছু শব্দ মস্তিষ্কে আঘাত করে
কিছু শব্দ হারিয়ে যায় শব্দের ভিরে ।


শুধুই কালো অন্ধকার।


কেউ কাউকে দেখছে না, কেউ কাউকে বুঝছে না, বুঝতে পারছে না। ঝড়ের বাতাসে যে থুড়থুড়ে বুড়ি এসে পড়েছিল ঘরের চালে , তখন শব্দ টা একটু বেশিই হয়েছিল তারপর টিনের চাল থেকে সড়সড় করে নেমে পরলো উঠানে। তারপর বুড়ির কান্নার শব্দ মিলিয়ে গেল রাতের বেলায় ক্ষুধার্ত বিড়ালের মিউ মিউ ডাকের সাথে। আমরা শুরু করলাম গবেষণা বিড়াল টা কি কালো? হারিয়ে গেল বিড়ালের ক্ষুধা কিংবা বুড়ির কান্না।


চারিদিকে ঘোর অন্ধকার, শুধুই শোনা যায় শব্দ।
নানা কিসিমের শব্দ। কিছু কিছু শব্দ হারিয়ে যায় অন্য শব্দের আড়ালে ।


যে শিশু গুলো বাঁচতে চেয়েছিলেন শব্দ করে, তাকে হত্যা করা হলো নৃশংস ভাবে ঘোর অন্ধকারে  দেখে কিংবা না দেখে । তাদের আত্মা এখনো শব্দ করে বাঁচার দাবিতে। কিন্তু সেই শব্দ হারিয়ে যায় অন্য শব্দের আড়ালে।


ভাগ্যিস এই শব্দ গুলো হারিয়ে যায় আর যদি আমাদের সেই শব্দ শোনার মতো কান তৈরি হত । তবে আমরা হয়তো মানুষ হয়ে উঠতাম। কিন্তু মানুষ হলে এই ঘোর অন্ধকারে কি এক মুহুর্ত থাকা সম্ভব হতো?


পৃথিবীতে এখন যা কিছু আছে সবই বড্ড দরিদ্র।
দরিদ্র মানুষ হলেও তার কোন অস্তিত্ব থাকে না সমাজে আর আমরা তো এখনো মানুষ হতে পারিনি।


এটুকুই যেন ভাগ্য ,
ঘোর অন্ধকারে
শুনছি শুধুই শব্দ
নানা কিসিমের শব্দ।