ভোর আর সকালের মাঝে মেঘের ঘনঘটা
বিদ্যুৎ চমকানো শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল,
গুড় গুড় মেঘের ডাক এখনই পড়বে বাজ  
বারান্দা র দরজা খুলতে হিমেল হাওয়া স্পর্শ
করলো আমায় তখনও চারিদিকে অন্ধকার
বিজলীর আলোয় সামনের মাঠ চোখে ভেসে
আসে যেন জোনাকিরা নিভছে জ্বলছে !


আজকাল বিজলী পড়ে মানুষ মরছে বেশী
মনের ভিতর ভয় কাজ করছে, আবার দেখার
লোভ সামলাতে পারছিনা। অদম্য ইচ্ছা দাঁড়িয়ে
মেঘ সকালের সুর্যর মান অভিমান চলছে, আকাশে
মেঘ তবুও মানুষ কর্মের জন্য ছুটে চলেছে নিজ গন্তব্যে।


কুয়াশা ঝরার মত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হলো, প্রকৃতি
যেন লজ্জায় মেয়েদের সাদা ওড়নার মত বিছিয়ে রেখেছে,
মনের আনন্দে গাছের ডালে দোয়েল, শ্যামা ও কাক
গাত্র দাহন করছে। অপূর্ব দৃশ্য চোখ ফেরানো যায় না।


সবুজ মাঠ বৃষ্টির ফোটা ঘাসের মাথায় মুক্ত র দানার মত
জ্বল জ্বল করছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ফোটা, দেখে মন ও
প্রাণ জুড়িয়ে গেল! এ যেন প্রকৃতির অপূর্ব রূপ ফেটে
পড়েছে ধরায়। মাঝে মধ্যে দমকা হাওয়ায় শরীরে শিহরণ
জাগায়, কি অদ্ভুত এই প্রকৃতির লীলা খেলা।


দেখে যেন মনে হচ্ছে যুবতী র নারীর যৌবনের বান ডেকেছে
প্রকৃতির মাঝে, আনমনে প্রেমের স্বাদ আচ্ছাদন করছি! যেমন
করে নীলা র সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয়েছিল এই রকম বৃষ্টির
দিনে! মনকে ভাবিয়ে তুলেছে স্মৃতির আয়নায়।


নীলা কে নিয়ে স্বপ্ন দেখা অনেক আগে ছেড়ে দিয়ে দিয়েছি
যে দিন তার বিয়ে হয়ে যায়, তবে কেন আজ প্রকৃতির রূপ
দেখে হঠাৎ করে নীলা র কথা মনে পড়ছে, কেমন আছে সে!
সে কি আমার কথা মনে রেখেছে!


ধীরে ধীরে বৃষ্টি কমে এলো আকাশ পরিষ্কার, আমাকেও অফিসে
যেতে হবে, বাধ্য হয়ে সব ফেলে রেডি হলাম! আমার মত মধ্য
বিত্তের স্বপ্ন দেখা সাজে, কাজ না করলে পেট চলবে না যে! তাই  
আবেগ, ভালবাসা, প্রেমকে হৃদয়ে তালা দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।