আমি কতটুকু বোকা, ভেবে দেখিনি তো আগে
ভাবার প্রশ্ন ই উঠেনি, এ ধরনের কোন দিন চিন্তায় করিনি
আগে! মনে হয়েছে ইনকাম করছি খাব-দাব আর
আনন্দ করে ঘুরে বেড়াবো!


খুব ভালই চলছিল আমার জীবন চাকুরীর যে পয়সা
আমি পেতাম তা দিয়ে সকলের চাওয়া-পাওয়া মিটিয়ে
চলে যেত ভাল, নিজেকে মনে করতাম আমি পৃথিবীর
সবচেয়ে সুখই মানুষ!


আমার অভিভাবক, আমার গুরুজন ও কাছের মানুষেরা
আমাকে নিয়ে খুব মজা করত, মনে করত, আমি কত সুখ
আমার কোন চিন্তা, দুঃ চিন্তা, দুঃখ কষ্ট নাই, তারা বলত এ
ভাবে চিরকাল বেঁচে থাক!


কিন্তু সম্পর্কের বড় বোন বার বার বলত ; দেখ এভাবে তোর
জীবন যাবে না চিরকাল, এখন তোর বয়স কম, ভাল ইনকাম
করছিস যে যা চায় তাকে তুই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিস
খারাপ নয়, সব ঠিক আছে! তবে একটা কথা!-


ভাল করে শুনে রাখ, আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি! তোর বয়স
বাড়বে, তুই চাকরী থেকে অবসর নিবি, তোর মাসিক ইনকাম থাকবে
না, তোর পরিবারের অসুখ-বিসুখ হবে! তখন কি এভাবে চলতে
পারবি?


হঠাৎ একদিন আমি একাকী বসে জীবনের পিছনের দিনগুলি, স্মৃতির
পাতা উল্টে উল্টে হৃদয়ের আয়নার সামনে এনে দাঁড় করালাম! আর
ঐ বোনের কথা মনে করলাম, আমার তো কোন সঞ্চয় নাই, আমি তো
বিশ বছর পিছনে ফিরে যেতে পারবো না! ওরা কি অভাবে দেখবে!


নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করছি, আমি কি স্বার্থপর, লোভী বা প্রতিদানের
জন্য এসব করছি! ছিঃ ছিঃ কেন আমি এভাবে ভাবছি, রাস্তায় চলার পথে
অনেক লোক যাযাবরের মত জীবন যাপন করেছে! তাদের কি কোন
ভবিষ্যৎ আছে? তাহলে আমি কেন ভেবে মরছি!


অভাব, দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, হাসি, খুশি মিলিয়ে একটা পুনাঙ্গ মানুষ।
সৃষ্টিকর্তা তো আমাকে মানুষ করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে, অন্য কিছু
করে তো পাঠাতে পারত! তাতো করেনি, আমি যা করছি বা করি আমার
বিবেক ও অন্তর দৃষ্টি বা অন্তর আত্মার নির্দেশে করি!


ভাবছিলাম একটা কবিতা লিখব, খাতা কলম নিয়ে বসে পড়লাম। মনে
যা এসেছে তাই লিখে ফেললাম, জানিনা এটাকে কবিতা বলা যায় কিনা!
বা কবিতা হলো কিনা! নাকি আমার নিজের ভাবনা গুলো লেখা হলো!
যাগ্গে যিনি পড়বেন তিনি, তিনি ভাববেন! তিনি বিচার করবেন।
আমার মনে যা চাইল তাই লিখে ফেললাম।