প্রেমের কবিতা লিখতে গিয়ে তুমি চলে এলে কোথা থেকে বুঝতেও পারলাম না,
আজ তুমি ছাড়া আমি থাকবো,
তুমি ছাড়া বাঁচবো -
তুমি ছাড়াই আজ গান, সাহিত্য, শিল্পকলা
সব কিছু হতে পারে জেনে রেখো,
গড়ে উঠতে পারে সমাজ, সভ্যতা -
সংসার থেকে সংস্কার সব কিছু বিবর্তিত হতে পারে জীবনের সাথে সাথে তুমি ছাড়াই একা একা -
তবু কোথা থেকে যেন চলে আস তুমি,
চলে আস সকাল থেকে রাত্রি
আমার যত প্রেম, যত আমার সৃষ্টি
হে প্রিয়া! সকল পথে আমার সাথে তুমি সহযাত্রী ।
সৃষ্টির গভীর থেকে গভীরতর চেতনায় তুমি ব্যপ্ত,
প্রেম, প্রকৃতি, জীবনের সুক্ষ থেকে সুক্ষতম অনুভূতি তোমাতেই শুরু, তোমাতেই সমাপ্ত ।
হে প্রেম, হে নারী তুমি চিরন্তনী।
জীবনের অনন্ত জোয়ারে ভাসমান এক তরণী,
তুমি রমণী ।
মায়ের মমতার বন্ধনে তুমি,
দুহিতার হৃদয়ের স্পন্দনে তুমি,
হে নারী তুমিই প্রেম, তুমিই প্রকৃতি ।
প্রেমিকার উষ্ণ চুম্বনে তুমি,
স্ত্রীর অশ্রু ক্রন্দনে তুমি,
তুমি হ্যাঁ তুমিই,
পতিতালয়ের কলঙ্কিত রাত্রি যাপনে তুমি,
ভালোবাসার মিথ্যা প্রহসনে তুমি,
তুমিই -
কর্পোরেশনের রুচিহীন আলোচনায় তুমি,
পলেটিশিয়ানদের কূটনৈতিক প্ররোচনায় তুমি,
তুমি কোথায় নেই ? নারী!
পেয়ারার গাছে -
যেখানে সবুজ টিয়া পাখি এসে প্রতিদিন নাচে,
সেখানে প্রকৃতির সব ভালোবাসা জমা হয়ে আছে ,
তোমাকেই খুজে পাই আমি ।
আমি যে প্রকৃতিকে ভালোবাসি -
সেই মাঠ-ঘাট- ধানক্ষেত
আর মরে যাওয়া নদী - জল-বালি,
সেও কি তুমি নও নারী?
জীবনের আদিম লগ্নে -
যদি অ্যামিবার মতো এককোষী প্রানী দেখে থাকি কোন !
যদি দেখে থাকি এক হতে দুই কোষে বিভাজীত হতে কোন দিন !
তবু তো সে পুরুষ নয়,
সেও এক প্রসবিনী নারী ।
আজ সব প্রজাপতি লাল-নীল-সাদা রঙে-
একদিন শুঁয়োপোকা ছিল সজনের গাছে
জানি না তুমি কোথায় সেখানে !
সেই শুঁয়োপোকা, প্রজাপতি
নাকি রানী-মৌমাছি?
যদি তুমি কিছু নাই হও -
তবু যত দিন সবকিছু আছে পৃথিবীতে
আছে ছবি - গান- কবিতা, কিছু ভালোবাসা, আছ তুমি ।