ছোট্ট ছোট্ট ভুলে ভরা,
মোর চিলেকোঠার ঘর,
সেপাই ছিলাম.........
পাহাড়া দিতাম অহনিশি জাগি,
যত জমানো কষ্ট তোর ।


লাল কষ্ট, নীল কষ্ট, সাদা...... কালো......
সব রাখতাম গণ্ডি বেঁধে,
শক্ত হৃদয় মোর শত বিক্ষত হোক,
যেন কষ্ট না পারে ছুতে তোকে।


তুই হাঁটবি সুখের গালিচায়,
পদ্ম ফোটাবো তোর রাঙা পায়ে,
এত ভালবাসায় জড়াবো তোকে,
কষ্টের আঁচ লাগবে না কভু গাঁয়ে।


বিনিময়ে আমার কি চাই??
মাত্র সেপাই আমি,
দিন আনি,দিন খাই।
চাহিদা মটেও কিছু নাই।
দিতেই যদি চাও দিও তবে...
কথা দিও তুমি আমার রবে,
দিন শেষে আমি ঘরে ফিরলে
চুমু একে দিও ক্লান্ত কপালে।
আদর করে খাইয়ে দিও নাহয়,
এর বেশি না চাই,
এই ভালোবাসাতেই বুক ভরাবো,
আমি চিলেকোঠার সেপাই।


এই সব শুনে, সে বলল হেসে,
আবেগি সেপাই... বামন সেজেছ?
হাত দিতে চাও চাঁদে ?
কষ্ট টুকু পাহাড়া দাও বলে কি!!
পা দেবো এই সস্তা ফাঁদে?


দুঃখ কি!! কষ্ট সে কি!!
সে বুঝি এতই দামি!!
তোমার ক্ষুদ্র কাজের পুরস্কারে কি?
নিজেকে সপে দেবো আমি ?


ফিরে যাও ঘরে সস্তা সেপাই
কভু এসো না এদিকে আর,
চাই না তোমার আবেগি কথা, আর...
চার আনার সংসার।


সেপাই ছুটল ঘরে,
কত পথ সে হেঁটে চলে গেল,
দেখল না পিছু ফিরে।
হঠাৎ সে ভাবল আবার
কষ্টে যে ভাঙবে,কোমল সব সুখ তার,
তার চেয়ে ভালো,সে আটকে রাখবে দ্বার,
                                                                              বুঝল সেপাই......
চিলেকোঠাই তার শেষ ঠিকানা,
নয় ভালোবাসা, ঘর, সংসার।।