কাক ডাকা ভোর
বাহিরে কুয়াশার চাদর।
গায়ে জড়ানো পাতলা কাঁথা
রঙিন সূতোয় আলপনা আঁকা।
উষ্ণতা পেতে বিছানায় গড়াগড়ি
কখনো জড়সড়, কখনো লেপমুরি।
হিম হিম ঠান্ডা সারা ঘর জুড়ে
শিশিরেরা চাল বেয়ে টুপটাপ পড়ে।
পাখিরা শিষ দেয় কত সুর করে
অজানা সুখে যেন মন যায় ভরে।
বাড়ির আঙ্গিনা ভরা গাঁদা ফুলে ফুলে
সুবাসিত গোলাপে প্রজাপতি দোলে।
প্রভাতের আলো আসে বেড়া ফাঁক করে
মায়ের আদুরে ডাক, খোকা উঠে আয়রে।
আমিও আলসে ভেঙ্গে উঠি বিছানা ছেড়ে
মুখখানা ধুয়ে আসি তাল পুকুরে।
মায়ের আঁচলে ভেজা হাত দুটি মুছে
বসে পড়ি তাঁরই পাশে জলচৌকি পুছে।
উননের পাশে বসে মজা করে খাই
মায়ের হাতের স্বাদের গরম চিতই।
ভাপা পিঠা, কুলি পিঠা নারিকেল, গুড়
সাথে আছে রসবড়া স্বাদে ভরপুর।
নতুন আলু, টমেটো, শিম ভর্তা
গরম ভাতে খাবো আরো কত তা।
কলাপতায় ভাপরানো শিং আর শোল
ধনেপাতা দিয়ে রাঁধা ট্যাংরার ঝোল।
এরপর আছে খেজুর রসের পায়েস
রোদে বসে খাবো আহা কত যে আয়েস।
এমনি করে শীত দিয়ে যায় মেলা
শীত আসে, চলে যায়, প্রকৃতির খেলা।।