এই যুবক
হতাশ কেন?
চাকরি নেই?
ব্যবসা নষ্ট হয়েগেছে?
টাকা-পয়সার সমস্যা, এই তো!


সম্প্রতি ছ্যাঁকা খেয়েছ প্রেমিকার!
সম্প্রতি বকা খেয়েছ বাবার!
সম্প্রতি আহত হয়েছ স্বপ্নভঙ্গে!
নাকি, লজ্জ্বিত হয়েছ খেতে গিয়ে রুটির দোকানে!


ধূমপান কর? এই নাও-
রিক্ত কর না বুকের বল।
এতো শীঘ্রই হতাশা কৃষ্ণগহ্বরের মত কোন যুবককে
গ্রাস করবে! মেনে নেয়া যায় কি?
মুখ তুলো। মাথা উচু করে দাঁড়াও এবার।


দেখ, জগতটাকে- যার শক্তি কৌশল দুনিয়া তারই।
সুতরাং, প্রশ্ন কর নিজেকে-
তার গাড়ি আছে তোমার নেই কেন?
তার বাড়ি আছে আলিশান তোমার নেই কেন?


পঁই পঁই করে হিসাব নাও-
আর ছাড় নয় আর ছাড় নয়-
তোমার পদতলে যে পৃথিবী তাকে ভোগ কারার
পূর্ণ অধিকার তোমারও আছে।
কেন ভাগ ছেড়ে দিবে?
এই সমাজের কাছে এই বিশ্বের কাছে
পাওনা যা আছে বুঝে নাও।
প্রতিটি কষ্টের প্রতিটি আঘাতের প্রতিটি ঘামের
পাওনা বুঝে নাও- কেড়ে নাও।
যারা দিবে না- তাদের কাছ থেকে মেরে নাও।


কেন এখানে মুখগুঁজে পড়ে রবে চুপচাপ!
জেগে উঠ যুবক, জেগে উঠ-
জেগে উঠ সমুদ্রের মত গর্জন দিয়ে
জেগে উঠ ইস্রাফিলের হুংকার তানে।
বিপ্লব আনো- বিশ্ব প্রলয়ের।
পরিবর্তন আনো- প্রচলিত ধ্বজভঙ্গ ধারার।
ছিনিয়ে নাও অধিকার- যা আছে পাওনা বাকি।


আরে বাদ দাও। এইগুলো মৃত সাপ- শিয়াল-শকুন জন্তু।
বিভৎস্যমূর্তি দেখানো ভিন্ন কিছু পারে তারা?
তারপরও যদি ভয় পাও, স্রেফ মাথায় দিবে-
তারপর সব শেষ।
তারপর বুঝে নিবে হিসাব ছ্যাপ দিয়ে গুনে।


বিয়ে কর নি নিশ্চয়!
তাহলে এখনও পঁচে যাও নি নিশ্চিত।
এখনও সম্ভবনা তোমার হান্ডেটে হান্ডেট!
তুমি তাকালেই দেখবে, সোনা ফলবে- বাংলার অবারিত মাঠের মত।
তুমি ক্রোধান্বিত হলেই তখন জ্বলে উঠে আগুন- হাবিয়ার।
তোমার ঘামেই সমুদ্র হয়- সুগভীর।


জেগে উঠ তুমি, জেগে উঠ যুবক।
ভেঙে দাও খাঁচাবদ্ধ-বিশ্ব সংসার।
হাতের শিকল পায়ের বেড়ি ভাংতেই যে হবে তোমাকে।
মহাপ্রলয়ের শিঙ্গায় এবার তোমরই দিতে হবে সুর।
ভাঙ এ চক্র- বক্রবাঁকা- জীর্ণ নিয়ম
তুমিই সত্য- প্রতাপ বিশ্বের অধিপতি আজ,
মুকুট নেই তাকে কী।
মুকুটহীন তারুণ্যই সকল সাম্রাজ্যের অধিপতি।


তোমার অধিকার মেরে খেয়ে যারা
উদর করেছে ঢিলেঢালা,
সেখানে বর্শা হানো অবিরাম পরাস্তপ্রান্ত,
নিশ্চিত নির্মম।
তারপর সাঁজিয়ে নাও ধরা তোমার মত
সকলের জন্য- সর্বোত্তম।


২৪ জুন, মিরপুর, রাত