ওই কুচকুচে কালো মেয়েটার
বাবা মা সাধ করে নাম রেখেছিলো
সূর্যমুখী , সূর্যের সাথে যেন তার
কত দিনের সখ্যতা , বন্ধু তার
গ্রীষ্মের টইটম্বুর ভর দুপুরে
কিছুক্ষন আগের ফুটে ওঠা কচি
সূর্যমুখীটা খোঁপায় গুঁজে সে
খেলে বেড়াতো আমের ডালে ডালে
বান্ধবীদের সাথে কখন ও একা
বাবা মা ভেবেই সারা সারাদিন
গাছ বাওয়া এই ডানপিটে মেয়ে
পাবে কি কখন ও কারুর দেখা
আবার ভয়ে শিউরে ওঠে দুজনে
কালো মেয়ের বিয়ে দিতে গেলে
পাত্র পক্ষের মন ভরাতে হবে বরপনে
কিভাবে সামলাবে তা গরিব বাবা মা
কত বিয়ে ভেঙে গেলো , দাবি পূরণ
নাকি অসাধ্য সাধন , বড় জুটলো না।
কাউকে হয়তো ভালোবেসেছিলো সে
সেও তাকে করেনি কভু গ্রহণ
মনের দুঃখে সূর্যমুখী চায় শুধু মরণ
ঘর বেচে , জমি বেচে  বিয়ের ঠিকঠাক
কি করলি পোড়ারমুখী ? সবে হতবাক
চলে গেলো সূর্যমুখী বুকে নিয়ে জ্বালা
হলুদ ফুল সে ভালো বাসতো বলে
গলায় নিলোনা কি লাল - সাদা মালা ?
সূর্যমুখী দুঃখে ক্ষোভে মুখ ফিরিয়েছে
সূর্য যতই চেষ্টা করুক সে তো হেরেছে
তাকাবে না সে আর সূর্যের দিকে
সূর্য যতই প্রাণ ভোরে দিক আলো
হাজার ফুল তো এখন ও আছে
কে বা দেখে এক সূর্যমুখী গেলো।