আজ আমি ঘুমের ঘরে
মৃত্যুর প্রতিচ্ছবি দেখি বারেবারে।
আজ মৃত্যুই যেন আমার ধ্যানজ্ঞান!
একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুই পারে
আমায় দিতে- অভিশপ্ত জীবন হতে,
মুক্তিকূপের অন্বেষণের হাতছানি....
আজ আমি এ জগদ্বাসীর
যন্ত্রণায় জর্জরিত!
তাইতো আমি আজ- নরকের কষ্ট
সয়ে নিবো বলে পণ করি।
আজ একটি মৃত্যুই পারে
আমায় সন্ধান দিতে নতুন এক পথের!
যে পথে আমি হাটবো অনন্তকাল...
এ ধরিণীর আগ্নেয় কথন
তখন হয়তো আর পীড়া দিবে না।
আজ আমি আমার দেহকে
জাহান্নামের অনলে ঝলসাতে উৎসুক
কিন্তু এ ধরিত্রীর আত্মপক্ষের
জ্বালাময়ী কথন শুনতে অপ্রস্তুত।
কেউ হয়তো অবজ্ঞার সহিত বলবে
ছিঃ বিদ্রোহী ছিঃ, তুই চলে যাবি
তুই এত্ত ভীতু!
কেন আমি বেঁচে থাকবো?
যেখানে আমি আজ জীবন্মৃত
সেখানে আমি বারেবারে
বেঁচে থাকার অভিনয় কেন করবো?
সত্যি আমি চলে যাবো!
বুঝবে সেদিন বুঝবে
যেদিন আমার জীবনাশে
শূন্যের চন্দ্রিমা ধূলিজালে ঢাকা হবে
সূর্যালোকও মুখ লুকাবে এ ধরিত্রীর।
যে মেঘের সাথে আমার ছিলো বন্ধুত্ব
সে মেঘও আমার দেহাবসানে
বজ্রধ্বনিতে এ ধরিত্রী কাঁপাবে।