মেঘেদের রাজ্যে অভিমানের জল,
যেদিন গড়িয়ে পড়েছিলো ভূ-খন্ডে।
ঝড়ো ঝড়ো হাওয়ায়,
জনপদে চলছে যখন;
ছুটাছুটির মহড়া।
রাখাল ছুটছে যখন,
মেষের পালের পশ্চাদে।
গ্রাম্য বধূ দিশেহারা যখন,
টিনের ছাউনির ফোটায়;
মন্থরগতিতে জল গড়লো বলে।
গ্রাম্য অবাধ্য বালকেরা ছুটলো,
বৃষ্টিতে জলসিক্তের প্রয়াসে।
তৃষ্ণার্ত কাক পেলো,
এক ফোঁটা জলকণার স্বাদ।
ইটের প্রাচীরে আবদ্ধ নগরীর-
বাসিন্দারা পেলো করিডোরে দাঁড়িয়ে
ছুঁয়ে দেখতে শ্রাবণধারা।
স্বজনহারা মনুষ্যকূলের অশ্রুতে
কেঁপেছিলো অশ্রুসিক্ত ভূ-খন্ড।
সেদিন কোন এক ধমকা হাওয়ায়,
তোমারই সান্নিধ্যে ধরা দিলাম আমি।
সেদিন তোমারই-
স্নিগ্ধ মায়াভরা মুখখানার দিকে
অপলক দৃষ্টিতে থাকিয়ে ছিলাম আমি।
মেঘের গর্জনে ক্ষণিকের তরে
হয়তো চোখের পাতা এক হয়েছিলো।
ময়ূরপঙ্খীর ন্যায়
সৌন্দর্যের পাখা মেলে এলেও
সেদিন লজ্জায় মুখ লুকালে তুমি!
নগ্নপদে বৃষ্টির ছন্দে তোমারই নৃত্য
অবলোকনে বিমোহিত সেদিন স্ব মন।
সেদিন গোধূলি বেলাশেষে
তোমার তরে ১০৮টি ফানুস গগনে উড়িয়ে
ভালোবাসা নিবেদন করেছিলাম।
তুমি মুচকি হেসে সাড়া দিয়ে
আজীবনের নিমিত্তে কাছে নিলে।
সে থেকে আজও এ দীর্ঘ পথচলা...
তুমিই আছো তুমিই থাকবে
হৃদয়পুঞ্জের স্ব অবস্হানে!