আমি আজ চার দশকের,
রক্তাক্ত বটবৃক্ষের;
কথন উচ্চারিত করছি বারেবারে।
যে বটবৃক্ষের মহত্ত্বের
জীবনকথন লিখতে গিয়ে,
কলম যোদ্ধাদের-
লিখনিতে শিহরণ জেগেছে!
যুগে যুগে অজস্র হায়েনা এসেছে
বটবৃক্ষের শিকড় উপড়ে ফেলিতে।
বটবৃক্ষের শিকড়ে কোপ দিয়ে
হায়েনারা অট্টহাসিতে মগ্ন হয়ে
ভেবেছে বটবৃক্ষের
শেষকৃত্য লিখিত হলো বুঝি।


ওরা কি জানে না?
উদিত অস্তমিত সূর্যের মাঝে,
নির্ভয়ে চলা পথিকের বসবাস।
বুকে যারা বিপ্লবের চাষ করে
আলোক মশাল হাতে নিয়ে
জালিমশালায় আগুন দিয়ে
ধ্বংস করে তাগুতশক্তি।
ওরা তো ভীতু কাপুরুষ নইতো,
ওরা তো দুরন্ত দুর্জয় দুর্বার।


বখতিয়ারের ঘোড়ার অশ্বখুরধ্বনিতে
ছুটে চলছে তারা তীব্রগতিতে
বিজয় কেতন উড্ডয়নের নেশায়।
এ জনপদে আজও
বটবৃক্ষ আছে প্রতিবাদের ভাষায়!
অন্ধকূপে আলোক মশাল জ্বেলে,
বটবৃক্ষ আজও আছে
লোক-লোকান্তরে;
আঁধার ফেরিয়ে নতুন ভোরের আশায়।