পশ্চিমাকাশে যখন সূর্য হেলে পড়বে
তখনই- বৈরি আবহাওয়ায় চারিদিকে,
শান্ত বাতাসের তাণ্ডব দিবে দেখা।
আকাশের ঐ বজ্রপাতে মুক্ত পাখিরা,
তখন ভয়ে কাঁপুনি দিয়ে উঠবে।
কোলাহল নগরী মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে,
জনপদের চলবে ছোটাছুটির মহড়া।
জন্মদাতা পিতার অবাধ্য হয়ে উঠবো
জন্মদাত্রী মাতার বকুনি খেয়ে
আগুনের ফুলকির ন্যায় হয়ে উঠবো।
আমারই অধরা মুখ ফুলিয়ে বসবে!
আমারই গাঁয়ে নষ্ট মাতালরা
মিথ্যের প্রলেপ আচ্ছাদিত করবে।
মনের আশাগুলো-
শুকনো ফুলের ন্যায় ঝরে যাবে।
তখনি এ নগরীর মায়া ছেড়ে,
গোধূলি বেলায় শান্তির খোঁজে
রেল লাইনের ঐ পথ ধরে
ছুটে চলবো,ঐ দিগন্তের শেষ সীমানায়।
স্টেশনের ঐ প্লাটফর্মে চলবে,
কর্মব্যস্ত মানুষের আনাগোনা।
প্লাটফর্মে রাত্রিযাপনের নেশায় চলবে
এক ঝাঁক টোকাই'র আত্মযুদ্ধ!
সন্ধ্যার পাখিরা ছুটে চলবে
স্ব স্ব বাসায় গানের সুরে।
রেললাইনের আশাপাশে-
গাপটি মেরে থাকা পতিতারা
ছুটে চলবে খদ্দের'র আশায়।
ভদ্রপল্লির অলিগলিতে চলবে
যৌনতার মহামিলন।
স্টেশনে প্লাটফর্মে-
উৎসুক জনতার ভিড়ে
চলবে টাকা ছিনতাই এর মহড়া।
তবুও আমি-আমার পথে ছুটে চলবো!
অন্য আমিকে খুঁজতে
একাকীত্বের স্বাদ পেতে।
ফেলে আসা জীবনের
ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে
দুঃখের স্টেশনে তালা লাগিয়ে
ছুটে চলবো স্বর্গ রাজ্যের উদ্দেশ্যে
সুখের স্টেশনে!
যেখানে থাকবে না কেউ,
আমার পৃথিবী আমি গড়ে তুলবো!
নিঝুম নিস্তব্দ রজনীতে
চারিদেকে যখন- শূর্ণতা বিরাজ করবে।
তখন মৃত্যুকূপের মধ্যখানে
পদচিহ্ন রাখবো আমি!
তখন হয়তো ঘুমন্ত মানুষ,
পথিক বিহীন রাস্তা,
জেগে থাকবে একফালি চাঁদ!
খোদাভীরুরা তখন-
স্রষ্টার নৈকট্যের আশায়
রহস্যময় পৃথিবীর নিঝুম রাত্রিতে
স্রষ্টার ধ্যানে মগ্ন থাকবে।
মুয়াজ্জিনের আযানের ধবনিতে
ঘুম ভাঙবে এ পৃথিবীর।
তখন ভোর আকাশের
শুকতারারা মুচকি হাসবে।
সেদিন আমি হারিয়ে যাবো....