হে কর্ণফুলী-
জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে,
অতি নিবিড়ভাবে ও সংগোপনে;
মিশে আছো তুমি।
শীতের ঐ কুয়াশায়,
বর্ষার ঐ অঝর বৃষ্টিতে,
গ্রীষ্মের ঐ রৌদ্রতেজে,
তোমারই রূপ দেখেছি খুব কাছ থেকে।
তোমারই দখিনা হাওয়া,
তোমারই উজান-ভাটার ঢেউ,
সাম্পানের মধুর ধ্বনি শুনে,
দিন কেটেছে অসীমসংখ্যক।
তোমারই পাড়ে কেটেছে
বন্ধুদের সাথে কাটানো দিন।
তোমারই শীতল জলে
তৃষ্ণার্ত ঐ কাকের মত চুমুক দিয়েছি বহুবার
ফলশ্রুতিতে পেয়েছি অমৃতের স্বাদ।
শীতের আগমনী বার্তায়,
তোমারই অমৃত পান করতে
তোমারই তীরে পাড়ি জমায়
সুদূর সাইবেরিয়ার অতিথি পাখি।
জানি, তুমি-
আপন করে নাও অতি নিবিড়ভাবে।
জানি তুমি সর্বনাশী নও,
তবুও বহুবার তোমারই জল
অনেকের রক্ত চুষে নিয়েছে বহুবার;
দেখেছি আর শুধু নিরবে কেঁদেছি!
তোমারই মাঝে জড়িয়ে আছে
ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতি!
স্মৃতির ক্যানভাসে উঁকি দিয়ে যায়-
তোমারই শীতল জলে সাঁতার কাটার
অবাধ্য ছেলের অবয়বটি।
তোমারই জলে জ্যোৎস্নাময়ী রাতে
নৌকাভ্রমণের সেই দিনগুলো।
জ্যোৎস্না বল জ্যোৎস্নাবিহীন বল
তুমি তোমার সৌন্দর্য নিয়ে
চির কাল বড়াই করতেই পারবে
হে কর্ণফুলী তুমি!