শারদীয় উৎসবের আগ দিয়ে মিতা এসেছিল আমার ডেরায়,
উদ্দেশ্য ছিল কাছাকাছি কোন বিশেষায়িত আরোগ্য সদনে শোধিত হবে, তারপর বুক ভরে নেবে পূর্ণ শ্বাস


এভার কেয়ারে ভর্তি হয়েছিল সেই সূত্রে
সঙ্কট মোচনের তীব্র বাসনায় কখনো আর এন টগোর
কখনো উড়াল ভ্রমনে পৌঁছে যাওয়া
চেন্নাই এপোলেতে....।


চিকিৎসকদের আশ্বাসে ফিরে এলো দেশে,
আমার এখানে
কি আনন্দময় ছিল সে কটা দিন গল্প, স্মৃতি চারণ
ঝিঙে ভাজা,কচুর লতি,লাউয়ের ঘন্ট, ছোট ট্যাংরা
বেগুন ভর্তা এসব পছন্দের তালিকার শির্ষে ছিল তার
খাসির মাংস,রুই ,ডিমে ভরা ইলিশ,চিংড়ি সে দাঁতে কাটেনি আর
বেশ চলছিল প্রতিদিন যেয়ে যেয়ে চিকিৎসা সেবা


কোনদিন ছবি,কোনদিন মলি,কোনদিন মিহির, কোনদিন সিথি ছিল তার নিত্য সহচর
ইনফেকশন হয়েছে বলে কতৃপক্ষ ভর্তি করিয়ে নিল সুকৌশলে ফিরিয়েও দিলো তাকে পঁচিশ দিন পর


অনেক দিন পর এবারে একটা শাড়ি কেনা হয়েছিল ওর জন্য
পূজা শেষ হলো সে শাড়িটার ভাঁজ খোলা আর হলো না!


বসুন্ধরা ঢাকা
১৩.০১.২০২৪