পাগলের কথা শুনে যদি ছাগলেও হাসে, মানুষ করবে কি ?
পায়ে পায়ে ডলা দিলে সরষে, বাহির হইবে কি ঘী ?  
চুনো পুঁঠি চাঁটি মারে তাক তেরে কেটে, হাইতোলে বোয়ালের ঝি    
খাজনার হিসেব রাখে মেছো ভুত গেছো ভুত,  দেখা তারে যায় কি ?


ভেড়ার পালে আছে জাতীয়তা বোধ, ঝাঁপ দিলে একজন সব্বাই ঝাঁপায়  
মানুষ তো তা নয়, দিন রাত বছর জুড়ে মিথ্যা কথায় স্বর্গ কাঁপায়  
খই ফুটে ধান হলে ; দই থেকে দুধ, সহজ এই কথাটা বোঝা যায় !  
মাথায় ব্যামো হলে পায়ে সেঁক বরফের ! বদ্যির বিদ্যে করে হায় হায়    
স্নায়ু জ্বরে হাঁচি দেয় শাখামৃগ, কলার ব্যাপারী দেখে তেড়ে যায়  
কুমীরের সর্দি হলে কোন তুকে মুক্তি ? কার মাথা হাড়গোড় চুষে খায়    
লেজ তুলে মারে দৌড় ফেউয়ের ডাক শুনে, মামা তারে কওয়া যায় !
সর্ষেতে ফুঁক ফাক ভুতেদের দেখা নাই, আছে কি নাম ওঝার খাতায় ?  


মরা খাসি বাসি হলে স্বাদ নাকি বেড়ে যায়, বগল বাজিয়ে বলে হায়নায়  
হাতি যখন ছাতি ফোলায় ব্যাঙ তার মাপ নেয়, পরাতে জুতো তার পায়
হাসি চেপে বাঘের মাসি মিউ মিউ ডাকে, লাফিয়ে গাছে ওঠে লজ্জায়
পাকা বেল গাছে গাছে কাক খেতে চায়, না পেয়ে বসে পড়ে ধর্নায়  
ঘুম ভেঙে শালিক চড়াই ছাতার ঘুঘু , ব্যাপারটা কি বুঝতে চায়  
বাসা ছেড়ে গা ঝেড়ে কয় ধার্মিক বক, যা যা ভ্যাটে গিয়ে খেয়ে আয়  
ধর্মে বলে পাকা বেলে বিপদ বাড়ে, কেন রে উপবাসে আছিস ধর্নায় ?
পাক পাখালির মানা আছে খাওয়াতে, উন্নত মানব প্রজাতিই সব কিছু খায়।  


সোনারপুর
০২/১১/২০২৩