মুখ বেঁকানো ঠোঁট উল্টানো ভেংচি গুলো করছে ভীষণ ছটপট
কেউ বোঝে না মুখোশের নিচে কোন ছবিটা লটপট
গোঁপ নাচানো গুপি হাসি, তার দিন হয়েছে শেষ
কমলা ঠোঁটের ঝলসানো প্রেম, সেও হয়েছে নিরুদ্দেশ।  


ফোকলা হাসি; দেঁতো হাসি; ফুচকা ওয়ালার মিচকে হাসি
চাঁদু মুদির কাষ্ঠ হাসি, আতান্তরে সব হয়েছে মুখোশ বাসী
এক ঘরেতে দাদা বৌদি, হাসতে হাসতে কি আসছে কাছে    
নাকি হাসির দরজায় ঝুলিয়ে তালা তারাও বেশ বিগড়ে আছে ।  


টোলপড়া গোলাপ রাঙা পাতলা চিকন অধর;  মন কাড়ে না বহুদিন      
ঝিলিকমারা নাকচাবিটা দেয় না উঁকি, ভুলকরে ও একটা দিন  
যেন লেবু লঙ্কার ঝুলিয়ে মালা ছফুটের বর্ডার রাখছে বজায়
মাথায় টুপি, মুখে চুসি চোখের মণি ঘুরছে এক অজানা শঙ্কায়।    


লাফিং ক্লাবের ঝাঁপ বন্ধ, নেই সেখানে গোমড়া মুখের কসরত
ঘুঘু পাখীটা উঁকি দিয়ে যায় যখন তখন পেলেই একটু ফুসরত
ফলস সিলিঙের ফাঁক ফোঁকরে বিস্তার উই রাজত্বের পূর্বাভাস
হা হা হি হি সব বেপাত্তা, সবুজ পাতায় শুধুই শীতের দীর্ঘশ্বাস।  


সোনারপুর
১৬/১/২০২২