চির  বিদ্রোহী, হে  চির উন্নত শির, গেয়েছিলে সাম্যের গান  
স্বপ্ন দেখেছিলে সব এক হয়ে গেছে, ঘুচে গেছে ব্যবধান।।


প্রশ্ন রেখেছিলে, কেন খুঁজে ফিরি তাঁরে পুঁথি আর কঙ্কালে
যে হাসিছে সদাই, ভেদহীন  সকল অমৃত হিয়ার অন্তরালে
তাঁর সৃষ্টিরে ছেড়ে, তাঁহারে খুঁজি আকাশ পাতাল ফুঁড়ে !  
ইট কাঠ পাথরের বদ্ধ ঘরে, ভাব-কল্পের ত্রিলোক জুড়ে !!  


হে চির প্রেমিক, দেখেছিলে মানুষের চেয়ে নাহি কিছু মহীয়ান
ধর্ম নহে, জাতি নহে, মানুষের মাঝে, মানুষ রুপেই তিনি বিদ্যমান।।  


বিশ্ব দেউলের মালিক তিনিই, কখনো দরবেশ, সাধু, মুশাফির
কখনো চাষা, চন্ডাল, মেষের রাখাল, আধার তিনিই  শক্তির
মানুষ আছে  তাই তিনিও আছেন, নহিলে হয়ে যাবে সব ফাঁকা
গীতা, বাইবেল, কোরান, ত্রিপিটক মানুষই এনেছে, পথ আঁকা বাঁকা।।


ধর্মের নামে শিরনি চড়ায়ে মসজিদ মন্দিরে, মানুষেরে রেখেছ  ভুখা
দীপ্ত মহিমায়, যাকে ফিরাইছ শূন্য হাতে, সেই তব ফেরেস্তা, দেবতা, সখা
নামাবলি গায়ে, শিরে টুপি, নিক্তি ধরিয়া দেখিছ, অন্যের পাপ মাপি !  
বোঝনাকি ? অলক্ষে থাকি দেখিয়া কর্ম, কহিছেন তিনি, তুমিই বড় পাপি।।    


উত্তর এসবের মেলেনি আজো, যে স্বপন দেখেছিলে জীবন ব্যাপি
হে বিদ্রোহী, রণক্লান্ত, দেখিতে পাও কি অলক্ষ্যে থাকি  অভ্রভেদী
এ রণভূমে আজো হয় অন্যায়ের জয়, মানুষ হয়নি মানুষের জ্ঞাতি
জীর্ণ-শীর্ণ নির্বাক দেবতা-ফেরেস্তা পথে পথে, সমাজ পাবে কি সাম্যবাদী !!  


সোনারপুর
২৪.০৫.২০১৭