কোথা হতে এলে, কোথা নিবে ঠাঁই
কোথা হবে শেষ, কেউ কি জানে সে কথা
কোথাও হাসি-সুখে বুক ভরা, কোথাও শুধুই ব্যাথা
কোথাও জীবনে জড়ানো সবুজ লতায় প্রাণসখা
হৃদয়ের কোন সে উর্বরতায় মেলেছিল শাখা  
কোথাও বা নিষাধ দীর্ঘশ্বাস, অশ্রুভেজা পোড়া ছাই।।


কত রুপে, কত ভাবে,  জীবনের পরতে পরতে
অঙ্কুর থেকে দুটি পাতা, ফুলে-ফলে বিকশিত গরবে
মেলিয়া দল, বিলাও সুবাসিত জোছনা নিশ্চুপে
সুষমায় ভরাও জীবনের বহু বাঁক সুস্থির-অক্লেশে
অবিরাম ধারায় শিক্ত, শীতল করিয়া মনের আগুন
মেলে দিয়ে পাখা নীল নৈসর্গিকে, রঙের আলাপে ফাগুন।।


কত বন্ধূর পথ ভ্রমি, অদৃশ্য বঁন্ধনে বাঁধ হৃদয় জোয়ার
মধু চন্দ্রিমা যাপিয়া, লঘু কর অস্থির মহাভার
ঝর্না ধারায় ভাসাও,  অম্ল-কষায়- বিস্বাদ যত খুঁত
আশার আলোকে বিদারী নিশা, স্মিত হাসির হও দূত
মানা নেই কোন খানে, প্রাসাদ হোতে সাধারন সে কুঁড়ে ঘর
দু-হাতে বাঁধ নিবিড় যতনে, যেন সব জনমেই ছিলে,  নহ পর।।


কিছু ঊষ্মা, কিছু কান্না, বিয়োগ ব্যাথায় কভু উতাল মনের যমুনা
বাঁকে বাঁকে অদেখা ভবিষ্যৎ, তবুও সুন্দর তুমি প্রেম
প্রতি জীবনেই আলপনা আঁক, ঝরাও বসন্ত সুরভিত হেম
দিনান্তের নীলে নিশ্চুপ প্রতি পলে, স্মৃতির পাতায় ভেসে চলে সে নাও  
কখনো বিলাও দু-হাত ভরে স্মৃতি সুধা, কখনো বা অভিমানে বাও  
কোথাও নেইতো আড়ি, শ্বাসত্ব তুমি রুপে, অরুপে, জীবনের আলপনা।।    

১৪.০২.২০১৬