এই বেশ আছি, আরামে আছি, না না, আমাকে থাকতে দে
সব পাচ্ছি শুধু গল্প করে, ওরে আমার কপাল খুলে গেছেরে
কি ভাল ভাল খাবার, আমার বাবাও কোন দিন চেঁখে দেখেনি
দুর শালা, তোরা জালাসনি, আমাকে বাদ দে, আমি ঘর জাবুনি
আধ পোড়া বিড়ি টেনে টেনে পাঁজর বসে গেছে
এখন দু-বেলা গোটা সিগারেট ! চা-বিস্কুট, সব মিলছে
কটাদিন থাকতে দেনা, শরীরটা গড়ে নি, ঘরে গেলে ... আবার...
আবার... মাছ ধরা, ঘুনি বোনা, জাল সারা... না না যাবুনি
এই ভালো আছি, তোরা আমার জামিনের কথা ভাবিস নি।।
সাব-জেলের এক বন্দীর উক্তি, ষাটঊর্দ্ধো, গ্রামের অতি দরিদ্র মানুষ
জড়িয়ে গেছে গ্রাম্য বিবাদ-মারামারিতে, পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে,
থানার লকআপ থেকে সোজা জেল-হাজতে আরো অনেকের সাথে
সহ-বন্দী, খুনের অভিযোগে জেলে - ফিসারি মালিকের হয়ে -একই শেলে
মালিকের তরফ থেকে খাবার, নেশার জিনিষ, যা কিছু আসে সহ বন্দীর
তার ভাগ জোটে - এই নিরপরাধ বুড়ো মানুষটির ভাগে।।
হাজতের খাবার, কম্বল, ওর কাছে এক অনাবিল নিশ্চিন্ততা
গায়ে-গতরে খেটে জোগাড়ের দায় নেই , নেই কারুর গঞ্জনা
প্রতি দিনের পাপক্ষয়, সকালে চোখ খুলেলই এক মুঠো অন্নের চিন্তা
খাল - বিলের শাপলা, কলমী শাক, চালের পয়সা জোগাড়ের জন্য
এ-খাল ও-বিলে জাল মারা, মাছ নিয়ে দোরে দোরে বিক্রি করা
তার পরও পেট ভরেনা দুই বেলা, বউয়ের হাজার গালাগাল
চার আনার বিড়ি কিনতে – চল্লিশ বার ভাবা, রোজ খাটার শক্তি নেই
সেতো বলবেই, না না ঘর জাবুনি রে, রেহাই দে, এই ভালো আছি
ঘরে বলে দিস, ভোলা ভাল আছে, ভাল আছে...ভাল আছে...।।