সবযে কেন যায় গুলিয়ে,  ধুস - আর ভাল্লাগেনা ছাই  
কারকাছে যে শুধোই আমি !  উত্তর কোথায় পাই ?


ও মাগো দশভূজে সেই ছোট্টথেকে দেখছি তোকে,  
গড়ছে কুমোর আটচালাতে বাঁশের-চটা খড়-মাটিতে  
সিংহ চড়ে অস্তর নিয়ে, মার-কাটারি দৌড়ে এলি,
অনার্যটাকে সামনে পেয়ে, হা—রে--রে, শিবের শূলেই ফাঁসিয়ে দিলি !!  


মাগো তুই ত্রিনয়নী-জ্ঞানাঞ্জনী, তবু বুঝলিনা এই রাজনীতিটা,
খ্রীষ্টপূর্ব ১৮৫ অব্দে মহামতি সুমতি ভার্গব রচে ছিলেন মনুসংহিতা
ক্রমানয়ে রচিত হল উপযোগী ধর্মশাস্ত্র, অপ্রতিরোধ্য সব হাতিয়ার
ক্ষমতার উৎস ধর্ম, বুঝেছিলেন আর্যগনে, যুগে যুগে মানবতার সংহার।।
  
রাজা দশরথ ছিলেন জানি এই ভূমেতে, সত্য ইহাই অক্ষম উৎপাদনে  
পুত্রেষ্ঠি যজ্ঞবলে, নয়নমনি রামচন্দ্র তস্যপুত্র, আর্য হলেন কেমনে ?
দোষ-দস্তুর না দেখে তুই, ভুলে গেলি আসল নকল, দেখে ঐ নীল নয়ন
নীল নয়নের ছলা কলায় তুষ্ট হয়ে, আশীষ দিলি ভূমিপুত্র-মুলনিবাসী নিধন !!


অনার্য, জনক দুহিতার মান রক্ষাই ছিল শিব উপাসক, জ্ঞানী রাজেন্দ্রের    
যুক্তি-বুদ্ধি রাখলে খোলা,  হতেই পারে গল্প ভাল, লাঘবিতে কষ্ট বনবাসের,
অকাল বোধনে এল জয়, কিন্তু অন্তিমেতে !  হল কি নারীর সম্মান রক্ষা ?
মাগো, তুইও যে সেই নারী, অকালে আসার আগে করবিনে আর সমীক্ষা !!    

মাগো বলবি আমায় ? কি বার্তা আছে সেথায়, শ্রী শ্রী চন্ডী নামক কাব্যে  
শব্দমাতা সংস্কৃত, ব্যাঞ্জনাতে ঋদ্ধ, শ্রুতিমধুর, শক্তির জয়গাথাই আছেযে সে ভাষ্যে  
সেথায় নেইকো সূত্র মানবতার, মাগো ভালোই জানিস, খালি পেটে ধর্ম থাকে ?
মাগো- দেনা আশীষ, ক্ষুধা যাক, শিক্ষা ফিরুক, সাহস জাগুক প্রতি বুকে ।।


আসিস মা তুই যখন খুশি, আপন ঘরে হাসি হাসি,  পাবি স্বর্গাদপীর সম্মান
তোর আশীষে শান্তি আসুক, ভরুক হৃদয় মানবতায়, সবাই যেন হয় সমান ।।