এই মেয়ে, ওড়নার আড়ালে ঢেকেই চোলে যাবি
হ্যাঁ তোকেই বলছি,  ধরে দেখ এই হাতটা
পাঞ্জার ঊষ্ণতা কমেনি, সোজা আছে মাথাটা
তোর মিয়ানো মন - জলে ভেজা স্বপ্ন গুলো
আড়ালে না রেখে - আবারো না হয় তাতিয়ে নিবি।।


তুষের আগুন নেভেনা - সম্পর্কের টানা পোড়েনে
বার বার শুধু ছিঁড়ে যাওয়া নিস্ফল অভিমানে
কেবলি নোনা জলে ভিজে ভিজে-  মরা মাছের মত
সাদা দুটি চোখ, কাজলা হাসি গেছে মুছে আশা ছিল যত
অভিমানে ক্ষয়ে ক্ষয়ে একদিন নিশ্চিত হারিয়ে যাবি  
হাত ধর, বাড়িয়ে আছি, আবারো, আবারো তাতিয়ে নিবি।।


তোর বরফ বুকে আগুন জালিয়ে সুখের সাগরে নিয়ে যাব
বিনিদ্র দিবা নিশির কাব্য লিখে কমলা ওষ্ঠের পাতা ভরে দেব
লক্ষ চুমার ঢেউয়ে শরীর বেলার প্রতিটি কণা হলে তপ্ত
সূর্য-সৌর্যের স্বাদে প্রতি শাখায় যদি জাগে অকাল বসন্ত
তুই ঘুমিয়ে নিস - অশান্ত আগ্নেয় গিরি হলে শান্ত ।।
  
দুরন্ত বৈশাখী দাপটে লুটালে আঁচল, মুখ লুকাস এ বুকে
যদি কেহ হয় শীহরিত, হোকনা, তাতে কিই-বা যায় আসে
নিরব নিশির প্রতি মুহুর্তে যদি তোর দোপাটিতে হাসি ফোটে
মিশে যেতে যেতে এক হয়ে যাব, সত্তা থাকবেনা আলাদা অবয়বে


এই মেয়ে, এখনো থাকবি অভিমান ভরে এ যামিনী অভিসারে
ঊষ্ণতার অমোঘ স্পর্শে  তাতুক  মিয়ানো সম্পর্ক নূতন করে।।