বসন্তের এখনো অনেকটাই দেরী
সবে তো বর্ষারাণী এই যাব যাব করছে
সখী শারদীনির এখনো দেখা নাই
শিশু কাশের ঘুম ভাঙেনি, পদ্মেরা মাথা তোলেনি
কেমনে যায় সে, এই বাংলার দায়িত্ব ছাড়ি।।


নূতন সবুজে হাসে দিগন্ত রেখা গায়ে গায়ে ঢলে
বুনোহাঁস-পানকৌড়ি- রঙে ভেজা মাছরাঙা
শিশু মীনের সাথে সারা বেলা খুনসুটি, ভরা খাল বিলে
সবুজ কই,  শাপলা পাতার নীচে লুকায় যেন লুকোচুরি খেলে
শামুকখোর লম্বা ডানায় ভেসে নেমে আসে নবীন ধানের কোলে।।


উঠানের পাশে দেবদারুটা  সেজেছে  অপার সবুজে
তারি মাঝে মা কোখিলটা তীক্ষ্ণ স্বরে ডাকে কুক-কুকে
ব্যস্ত সারাদিন, সতীনের বাঁধা নূতন আস্তানার খোঁজে
হয়ত ভাবছে, কটাই বা দিন আর, নূতন কে তো আনতে হবে
দেখে রাখা, কোথায় রাখবে সে তার প্রেমের সৃষ্টিকে।।