কে আগে, দেবতার প্রসাদ নাকি ক্ষুধিতের আকুতির স্বীকৃ্তি
মানুষ বলে থাকেন প্রসাদ কনিকা মাত্র -প্রচলিত কথা
তবুও যা দেখি প্রায়শই,  বারে বারে একই মানুষের হাত পাতা
অবাক করে প্রকৃ্ত দৃ্শ্য, সত্যই ভক্তির প্রসাদ! নাকি ক্ষুধার নিবৃ্তি।।


বৃ্ষ্টি বিঘ্নিত সন্ধ্যা অথবা তপ্ত দূপুর যেমনি হোক অবস্থা
শত শত মানুষ, বয়স যাই হোক লাইনে দাঁড়িয়ে অধীর অপেক্ষায়
মাত্র দুটি লুচি বা খিচুড়ি আলুর দম বিতরন হচ্ছে কোন প্রাঙ্গনে বিনা পয়সায়
একবার নিয়ে উদরে বা ব্যাগের অন্দরে চালান দিয়ে আবার লাইনের শেষে ফিরে যাওয়া।।


সাত্যি! মানুষ কি বিশ্বাসে বার বার খেতে চায় পেতে দেবতার কৃ্পা
নাকি দূপুর-সন্ধ্যা-রাত্রে যখনি হোক মেটাতে চাইছে অপূর্ণ ক্ষুধা
কোন ভেদা ভেদ নেই, নেই উঁচু-নিচ, সবাই সমান, একই আশা
স্বাদ যেমনি হোক, কখন হাতে পাবে, উদরস্থ হবে ভক্তি-দেবতা।।


এর ব্যাখ্যা পাওয়া যাবেনা কিছুতেই- সবাই বলবে দেবতার দয়া
অনেক পুণ্য, অনেক ভক্তি, আপ্লুত মানুষ, নাকি তৃ্প্ত জীবত্মা
যাই হোক না কেন, শুধু দেখে যাই ক্ষুধার নেই সজ্জা-লজ্জা
প্রার্থনা করি হে সর্ব শক্তিমান, ক্ষুধিত কে দাও প্রসাদ-খাবার
হরে নিয়ে শত-সহস্র আবরন, মেটাও মেটাও এ অনন্ত ক্ষুধা-মায়া।