ছুটি নেই একদিনও, সপ্তাহে প্রতিদিন কাজ-দুই বেলা
সকাল থেকেই ছুট, কান্নারও নেই সময়, সব ছকে বাঁধা
ভোরের আলসে ঘুম, দুপুরের জমাটি আড্ডায় কথার ধাঁধা
বিকিয়েছে সবই, নিরক্ষর এক নারী, নেই বেলা অবেলা।।


কার বাড়ীতে কজন মানুষ, তার হিসাব মুখে মুখে
কে কি খাবে, সিদ্ধ না ঝাল ঝাল, কোন দিন কটা পদ
আমিষ, নিরামিষ, টক, তেতো - সব, কে কেমন, ভালো না বদ
নিজের ঘরের কথা নয়, থাকে সদাই ব্যস্ত বাবুদের সুখে দুখে।।


সময় ভাগ করা, কোথাও ছটা থেকে সাড়ে সাতটা,
তারপর ৮ থেকে ১০ টা, তা র প র আরো- ২ টো বেজে যায়
বাড়ী ফেরা - ফেনা-ভাত আলু সিদ্ধ -আবার শুরু হবে ৫ টায়
কোথাও ভাত, কোথাও রুটি -এভাবেই মুখস্থ তার সব নামতা।।


তবুও সে হাসে, কথা বলে সবাইয়ের সাথে, সব দুখ্য ভুলে
কোথাও একটু মুড়ি, কোথাও দুটি রুটি  এই তার ব্রেকফাস্ট
হারিয়ে ফেলে নিজেকে - যে দিন কিছুই না থাকে ঘরে শুধু ফাস্ট
একটু চাল, কোথাও বা দুটি আলু, পেঁয়াজ, লঙ্কা তুলে।।


বাবুর বাড়ীতে জানলে কাজটাও যাবে, জানে ন্যায় নয়
সে জানে এটা ঠিক নয়, তবুও পারেনা, হার মানায় - অভাব
আত্মসমর্পন করে - পেটের মোচড়ে,  জাগে নূতন স্বভাব
জানিনা বলা যায় কিনা, ক্ষুধার আঁধারে  একি অন্যায় ।।