( পূর্ণ  হল চারশত তম, সকল কবি-বন্ধু ও সুহৃদয় পাঠক, পাঠিকার  নিরন্তর প্রেরনায় )  


অনন্তকাল এ প্রশ্ন হয়ত ফিরে ফিরে আসবে!


প্রতি ভোরেই ভাবি, একটা সুন্দর সকাল হবে
জীবনের যত কলুষ প্রথম আলোর বন্যায় ধুয়ে যাবে
কানা গলির অন্ধকারে জন্মানো হিংসা, লোভের ছত্রাক
অনাথ শিশুর কান্না, পিড়ীতের আর্তনাদ চিরতরে হবে নির্বাক।।


অনন্তকাল কি মানুষ ভাববে আলো না অন্ধকার!


প্রতি সকালেই ভাবি কোন সে চাবিতে খুলবে মনের রুদ্ধদ্বার
জন্ম জন্মান্তরের কোন অকর্মের স্রোতে ভেসে জীবন ছারখার
কোন সে কারনে এত ভেদাভেদ, চারিদিকে চাপা কান্নার সুর
কি ভাবে  হবে প্রতিকার, খুশির আলোয় হেরে যাবে অসুর।।


অতলান্তিক মনের বিলাস-ব্যসনে চিরকালই কি থাকবে হাহাকার !


প্রতি দুপুরেই ভাবি আর দেরি নেই, এবার হবেই হবে সমাধান
একই মাটিতে মাথাতোলা প্রাণগুলো বলবে আমরা সবাই সমান
ক্ষুধার থাকবেনা প্রকার ভেদ, সে প্রতি উদরেই সীমাহীন যন্ত্রনা
চাই খাবার প্রতি মুখে - দুমুঠো, একটু পানি, আর কিছু না।।


হায়রে আশা, চিরদিনই মরীচিকা, আলো-আঁধার


দুপুর গড়িয়ে বিকাল - গোধুলি আসে ধীরলয়ে, জোনাকির রাত
আলোয় দেখা স্বপনেরা ঢেকে যায়, দেখি সারি সারি পাতা হাত
নিশ্চল চোখের পাতায় ঘুম আসেনা, শুনি দীর্ঘশ্বাস বেঁচে থাকার
মনের বোবা কান্নায় আগুন, তবু আলো নেই শুধুই অন্ধকার।।