বৈশাখের তপ্ত মধ্যাহ্ন, খাওয়া সেরে পুরুষরা বিশ্রামে
অপরাহ্নের কাজ শুরুর আগে শক্তি সঞ্চয়
ব্যস্ত থাকে পুকুর ঘাট, বাসন মাজা আর খোশ গল্পের মজায়
এক জন আর এক জনকে সুধায়, আজ কি খাওয়ালি বরকে
নানান উত্তর আসে বাতাসে ভেসে, হাসিতে গড়িয়ে পড়ে
কেউ বা ভেংচি কাটে, বলে  গা ধুয়ে গিয়ে বরকে দুধ খাওয়াবে
আর এক জন বলে ওঠে, ওলো তোর তো ক্ষীর হয়ে গেছে
উত্তর আসে, গরম করলে উতলে উঠবে, এ ভাবেই দুপুর কাটে।।


গ্রামের প্রায় সবাই চাষী পরিবার, খড়ের ছাওনি মাটির ঘর
বেশীর ভাগের  শৌচালয় নিজেদের বা প্রতিবেশীর বাঁশ বাগান
দুপুর টাই প্রসস্ত, গামছা বা আঁচলে মাথা ঢেকে জোড়ে বা একা
বেরিয়ে পড়ে পকুর ঘাটে আড্ডা বা নিস্তব্ধ দুপুরের আলাপে
এ ভাবেই ষোড়সী আরতি আগে যায় প্রতিবেশী রাখালের ঘরে
রাখাল চৌকিতে শোয়া ,ঘরে একাই থাকে, আরতি বসে
রাখালের মাথার দিকে রাখা একটা চেয়ারে সামনে ঝুঁকে
রাখাল উপুড় হয়ে শুয়ে, গল্প করে দুজনে, নানা কথা
আরতির চোখের ভাষা রাখাল বোঝে, হাত টা এগিয়ে দেয়
আরতি আরো ঝুঁকে বসে তার গামছায় চাপা পড়ে রাখালের হাত
কথা কমে আসে, মুহুর্ত গুলো কাটে, মুখে হাসি হাসি ভাব।।


বেশ কিছুক্ষন পর, আরতি সোজা হয়ে বসে, বলে যাই রে
অনেক্ষন হয়ে গেছে, মা আবার চেঁচাবে, কি রোদ্দুর নারে
রাখাল উঠে দাঁড়ায়, বলে যা তবে, আরতি রাখাল কে জড়িয়ে ধরে
বলে, একি করলি, রাখাল মিটি মিটি হাসে, আবার আদর করে
আরতি চুপি চুপি বেরিয়ে যায়, বলে আবার আসব কাল দুপুরে।।