তোকে দোসর করেই গল্পে মাতি
হাজার কাজের মাঝে তোর কাঁধেই হাত রাখি
চোখ বুজিয়ে ট্রেনে বসে অথবা দাঁড়িয়ে ছবি আঁকি
বিবর্ন-টুকরো কথা জুড়ে জুড়ে কথার মালা গাঁথি
কখনো বা ভাবি  দুর  এইটা  আবার  জীবন নাকি !


ব্যাথায় কাঁদতে পারিনা, কেবলি রক্তক্ষরন ভিতরে ভিতরে
ভাবি থাক পড়ে, আমার কি, চলে তো যেতেই হবে চিরতরে
কি হবে তর্ক-বিবাদে  তুই ঘিরে থাকিস এক নিভৃত অবসাদে
এত রং, তবু কিছুই নেই, কেবলি শূণ্য-শূণ্য অন্ধকার -নিভৃতে
রুপালি আলোর রেখা পাশ কাটিয়ে যায়, না দেখার অজুহাতে।।


তোকে শুধুই দিতে হবে এ পৃথিবীর অস্থির পরবাসে
চার পাশের ইট কাঠ পাথর হাত পেতে আছে এই পান্থনিবাসে
ক্ষমা নেই, প্রদীপে জালানি শেষ, তবুও জ্বলতে হবে
ভাসতে হবে জল গিলে গিলে অতীত থেকে ভবিষ্যতের ধাপে ধাপে
শত আঘাতে ভাঙ্গা যাবেনা, ঠিক আছি,  দেখাতে হবে।।


ফাগুন আগুনে যদি তাপ লাগে, এড়িয়ে চলাই  লক্ষ
যে যা খুশী বলুক, তবু শুনতে হবে, পেতে শান্তি-মোক্ষ
প্রতি ইঞ্চি জীবনের জন্য অনেক মূল্য চোকাতে হবে
সুখের - অসুখে পতিত ধারিণী বা  অমৃত আঁচলই ভরসা
জীবন মাপার  দোসর দূরের পথে ফিরবে কি স হ সা।।