মধুসুদন, জামিল, এরা সত্যই বড় অভাবি মানুষ, কাজ নেই
জমি-জিরেত, পুঁথিগত শিক্ষা নেই, নেই সামাজিক সম্মান
তবুও ওরা শিখেছিল, না বোলে নেওয়া পাপ, চুরির সমান
ক্ষুধার দাবানলে পুড়তে পুড়তে তাদের সামাজিক জ্ঞান
অপরাধ বোধ হেরে যায়, তাদের সততা ধাক্কা খায়
অন্যের ভরা ক্ষেতে, একটা কুমড়া তোলে সুযোগ বুঝে
ভাগ্যের পরিহাস, ধরা পড়ে যায় দক্ষতার অভাবে
জোটে নানা লাঞ্ছনা, হয় কুমড়ার দামের একশ গুন জরিমানা
সত্য এটাই, খাবার কেনার সামার্থ থাকলে - একাজ করতনা
লোকে বলে, ওরা চোর, তবু কেউ এক বারও ভাবলো না,
তার প্রতিবেশীরাও, একবার ও বল্লনা, না না ওরা চোর না।।


ওরা পাশা পাশি পাড়ায় থাকে,  গনতন্ত্র কি, ওরা তা জানেনা
জানেনা কি তাদের অধিকার, ভোট দেয়,  দিতে হয় বলে
সব্বাই দেয়, ওদের উঠানে এসে হাত জুড়ে মিস্টি কথায়
সেই জরিমানার মান্যি-গন্যি বিচারাকরা ভোট দিতে বলে যায়
ওরা কেবল অবাক হয়ে দেখে, ভাবে আগের জন্মের ফল
মধু বা জামিল জানেনা, গরিব হওয়া মানেই খুড়োর কল
যত খুশি নাচিয়ে যাও, গুছিয়ে নাও, কেউ পাবেনা এর তল
ভালো পোশাক, গাড়ী, শানিত ভাষায় মিথ্যার ফুলঝুরি
সাথে নন্দী, ভৃঙ্গী,  শুধুই মিথ্যার বেসাতি ঝুড়ি ঝুড়ি
মানুষ - গরীব মানুষ গুলো আবার আশা তরুতে বাসা বাঁধে
যদিও সামাজ শিখিয়েছে, ওরা এক দিনিই আসে দায়ে
প্রকল্পের টাকা তছরুফ হয়, কমিশনে বিল বানায়
পাশ হয়ে যায় টেবিল হতে টেবিল,  যেন সিগনাল খোলা আছে।।


বিজ্ঞাপন হয়,  ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন, খরচ অনেক টাকা
তবু ও যদি এরা দু মুঠো পেত, জন্মাবধি অভ্যাস, খাওয়া আধপেটা
কেই বা দেখাবে পথ, তবু বেঁচে আছে কপাল  জোর
শোনে অনেক কথা, সাহসে কুলায় না বলতে, মহাচোর...মহাচোর...।।