কাব্যিক সময় তখন, কুয়াশা জড়ানো ধুপি গাছ গুলো
সার সার দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের আগের  যুগের গন্ধ মেখে
পরস্পর জড়াজড়ি করে, হয়ত কিছুটা ঊষ্ণতার লোভে
গত কালই কিছু তুষার কুচি, ফুল ফুটিয়েছিল ধুপির ডালে
এখন আর নেই, চারিদিক অনাবিল নিস্তব্ধতায় আড়মোড়া ভাঙ্গে
নিস্তেজ দূপুর, এখানে সকাল নেই, খানিক সময় একটু রোদ মাখে
ভীষন কর্কশ আওয়াজ, দাঁড় কাক গুলোর, পাথুরে দেওয়ালে
ধাক্কা খেয়ে প্রতিধ্বনি হয়ে হয়ে মিলিয়ে যায় গভীর খাদে খাদে।।


আপাদ-মস্তক ঢাকা কিছু মানুষ, পিঠে কাঠের বোঝা
নত মুখে চলে যায় পায়ে পায়ে নিজের আস্তানায় ঊষ্ণতার খোঁজে
ওদের কাছে এ সময় বড়ই কঠিন, ক্ষুধার নির্দয় ভাব জগতে
নিস্তেজ আধ বোজা চোখে হাড় কাঁপানো ঠান্ডার পূর্বাভাস
জামিয়ে রাখা বাজরার গুড়োয় ক্ষুধাকে বশে রাখার অভ্যাস
কাব্যিক ধোঁয়া ওঠা কাপের তুফানে নয়, নুন দেওয়া লাল চায়ে
সময় কাটে ধীরে ধীরে ভেড়ার লোমে হাতে বোনা চাদরে
পা ডুবিয়ে, পাথুরে দেওয়ালের চৌখোপে শীতল অন্ধকারে।।


কাঁচ বন্ধ গাড়িতে আঁকা বাঁকা পথে যেতে যেতে, শরীর তাতে
নির্জলা সোমরসে, বিষ্ময়ে তাকিয়ে ক্যামেরা তাক করা
শুভ্র টুপিতে ঢাকা নাম না জানা ত্রিভুজাকৃতি চুড়োর অমল রুপে
ঠিক যেন অসীম নীলা-নন্দের আদুরে চাঁদোয়ার এতটুকু নীচে
খসখসে ফ্যাকাসে মুখের বাচ্ছা টা পিঠে বেঁধে গাড়োয়ালি রমনী
পায়ে চলা পথে উঠছে চড়াইয়ে, বাচ্ছাটা গোলাপি ঠোঁটে হাই তোলে
যেন লাভা স্রোতের ফসিল হয়ে যাওয়া শীলা খন্ড চুসে চুসে
দুটো ঠোঁটই তেতে ওঠা  দুরন্ত এক আগ্নেয়গিরির জালামুখে ।।