আমাকে সাজা দিবি বোলেই কি যতনে
এত গুলো দিন নিজের মধ্যে রেখেছিলি
অভুক্ত থেকেও প্রতিনিয়ত পুস্ট করেছিলি
উলু ধ্বনির অপেক্ষায় স্বপ্নিল আবেগে ভেসে
নুন গেলাতে বলেছিলি, নাড়ী ছেঁড়ার কষ্ট চেপে
আমার দোষ কোথায়,  লিঙ্গের প্রকার ভেদে ।।


মারতে পারিসনি বোলে, প্রতিদিন অবজ্ঞার স্রোতে ভাসিয়ে
আলোর থেকে দূরে রেখে, ডুবিয়েছিস অন্ধকারের গর্ভে
আমারো ছিল সমান অধিকার বাঁচার, সহদরদের সাথে
জ্ঞানের আলো দেখার,  প্রতিস্টিত হয়ে জীবনে পথ চলার
তোর কোলে মাথা রেখে আপ্লুত হৃদয়ে আদর মাখার
সহদরদের সাথে এক পাতে  বসে দুমুঠো পেট ভরা খাবার।।


হাসি মুখে কলকল রবে শিক্ষার অঙ্গনে যাবার আগে
ভার দিয়েছিস স্তুপিকৃত বাসন ধোয়ার, কাপড় কাচার
বিনা অপরাধে খেলার সময় কেড়ে নিয়ে ভার দিয়েছিস
পরিবারের অন্যদের সর্বক্ষণ সেবায় সন্তুস্ট করার
কোন দোষে যেতে হয় অসময়ে, জন্মের মূল্য চোকাতে  
চোখের জলে অত্যাচার ধুয়ে প্রতিদিন নূতন করে বাঁচার।।


শেষ অঙকের শেষ দৃশ্যে আগুনের পরশ নিয়ে প্রাণে
অথবা এক গোছা দড়ির ভালোবাসার  আলিঙ্গনে
ঝুলে থাকে  তোর সেই সাধারন সন্তান
সব্বাই কে মুক্তি দিয়ে শুধু জন্মের অপরাধে
তবু চাই, সবাই খুব ভালো থাকিস আপন আপন সুখে
আর কোন অনাগত যেন দূখ্য না পায় জন্মের অপরাধে।।