পায়েপায়ে জড়িয়ে চারিদিকে অবিরাম, অন্তহীন সমস্যা
আর্থিক থেকে মানসিক, নিয়ম বনাম বেনিয়ম বারমাস্যা
কত রোজগার হলে, রাখা যায় দারিদ্র মাপা প্রযুক্তির বাহিরে
দশ, বাইশ, বত্রিশ টাকা পরিবার পিছু দৈনিক আয় হলে ?
নাকি সপ্তাহে এক-দুই দিন আধ পেটা ভাত পচে যাওয়া চালে
বাকী দিন গুলি কেটে যায় জংলি মূল বা সেদ্ধ গেরো  শাক খেয়ে।।


ঠাণ্ডা ঘরে, দামী কালো গলাবন্ধের ঊষ্ণতায় আরামে বসে
অর্থনীতির চুল চেরা  নিয়ম ঘেঁটে নূতন নূতন সংজ্ঞা আসে
শুরু হয় পথ খোঁজা, কিভাবে জেতানো  বা  ঠকানো হবে
এক টাকায় ! নাকি পাঁচ টাকায় ভর পেট খাবার পাওয়া যাবে
দরিদ্রের জন্য বাজেটে কত দেওয়া হলে, শতাংশের হিসাবে
সব চেয়ে কত বেশী লুট করা যাবে দারিদ্র দূরিকরনের মোড়কে।।


হিসাবের মধ্যমনি,  ডিম আগে না মুরগি আগের নিরিখে
চলতেই থাকে বিশ্লেষন, দারিদ্রকে বৃদ্ধাঅঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে
মেনে নিতে হয় বড় বড় হরফে ছাপা খবর প্রতিদিন সকালে
ভাগ্যের দোহাই মেনে দরিদ্র জনগন দোষ দেখে নিজ কপালে
আবার সন্ধ্যা নামে, দুশো  টাকার  মজুরীতে টিপ ছাপ দিয়ে
অর্ধেক পেয়ে, তার অর্ধেক দিয়ে বিন্দুর  সুধা-সিন্ধুর দেনা মিটিয়ে।।


একটা প্রাণের দাম কত হবে! দশ টাকার বেশী নয়
একটা  বুলেট  দশ টাকাতেই - এখনো পাওয়া যায়
ক্ষয়ে যাওয়া মানবিকতার মত্ততায় মশগুল সমাজের মুখ
জিতবে কে, মূল্যবোধ !  না কি ভণ্ডামির চুড়ান্ত রুপ
এই বেশ ভালো দরিদ্র কে উন্নয়নের যজ্ঞে আহুতি দিয়ে
তাঁবেদারির কালো পলিথিনের আড়ালে থাকা দারিদ্র নিয়ে।।