পথে পথে ঘুরেই জেনেছি জীবনের ইতিকথা
দুঃসহ বেদনার হাজার অক্ষর মালায় আছে সে লেখা
ফেলে আসা দিনের প্রতিটি ধূলিকণাই কথা কয়
কখনো ফিস ফিসিয়ে, কখনো বা প্রবল উত্তেজনায়
সকাল থেকে দূপুর, দূপুর থেকে সন্ধ্যা, রাত গড়ায়
নূতন সূর্যের উদয়, ভীষন মেঘের আঁচলে মুখ ঢাকা
যেন বলতে চাইছে, আগামীর অনিশ্চিত ভবিষ্যত কথা
বলতে চাইছে, পথিক তুমি ভীষন - ভীষন একা।।

দেখেছি ভেসে যেতে, অনেক আশাকে কান্নার স্রোতে
অনুভব করেছি,  চোখের জলের হাহাকার গভীর অনুতাপে
প্রতিদিন-মুহুর্ত  আক্রান্ত হয়েছে অস্থির সময়ের পদচারনায়
বিষন্ন গোধুলি  গভীর থেকে গভীরতর শুধু সময়ের অপেক্ষায়
একটা শোক প্রস্তাব শেষ না হোতেই নূতন শোক পাঠের জোগাড়
ছন্দহীন প্রতি পলের কাঁটায় ছেয়ে যায় জীবন পথের বন-বাদাড়।।
  
শুনেছি পাতা ঝরা  রিক্ত অরণ্যের হাসি-কান্না পাশে থেকে
শূন্য শাখার অন্দরে আশা কুঁড়ির আর্তনাদ নিস্ফল অনুরাগে
মাটির গভীরে খাবারের তাগিদে শিকড়ের অনন্ত বিলাপ
পানী চাই , খাবার চাই, বাঁচতে চাই, প্রাণের গভীর সন্তাপ।