(বন্ধু আজ তিন শততম কবিতা প্রকাশিত হল, আশা করি
আরো লেখার জন্য অনুপ্রানিত করবেন)


কবিতার আসরে সবাই কবি, বল- বন্ধু হতে দোষের কি
কবিতা হেথায় নয়তো পেশা, নেশার মত নয় কি !!


ছোট ,বড়, আমরা সবাই  কথা সাজাই মনের সুখে
দোষ খুঁজে কি লাভ বল, শত্রু তো নয় সমুখে।।


ব্যাস্ত সবাই নানান কাজে, আছে অন্ন বস্ত্রের দায়
দিনের শেষে বা নীরব নিশিথে ঘুরে যাই তবু কবিতার পাতায় ।।


ছুটির দিনে কাজের মাঝে ঘুমের বরাত কমিয়ে দিয়ে
সবাই মাতি- খানিক সময়, চিন্তা করি কবিতা নিয়ে ।।


নানা জনের নানা মত, তাই নিয়েই তো চলছে বেশ
দলাদলি জাত- বেজাত কেন খুঁজি, বাড়াই মনের ক্লেশ।।  


মানুষ মোরা,  লিখতে পড়তে সব্বাই পারি
তবু কেন, তাল কেটে যায়, সেটাই কেবল ভেবে মরি ।।


কেউ বা চালাক- কেউ বা নয়, তবু তো সব্বাই লিখি
মেধা সবার হয়না সমান, নাই বা হোলাম গুনি কবি।।


কেউ বা আছেন অনেক জ্ঞানী , কেউ বা ভাষায় দক্ষ
তাই নিয়ে কি ভাবার আছে, শেখাটাও নয় কি লক্ষ।।  


জ্ঞানের যেমন নেইতো শেষ,  কতটুকুই বা জানি
লিখতে পড়তেই জ্ঞান যে বাড়ে এতো সব্বাই মানি ।।


নিত্য নূতন ভাবনা ভরা আবেগ দিয়ে লেখা
একই বিষয় ভিন্ন ভাবে, ভিন্ন চোখে, ভিন্ন রুপে দেখা।।


পাড়ার মোড়ে গাছের তলায় কেউ বা ঘোরে নদীর ধারে  
ঘরের কোনে, নীল নিলিমায় স্বপ্ন দেখে শূন্যে ওড়ে।।    


মরু ঝড়ে প্রেম উছলিয়া ওঠে, পূর্ণিমা করে হাহাকার
শীতের সকাল, গ্রীস্মের দূপু্‌র সব মিলেমিশে একাকার।।


দুখের কথা ভাবছি যখন, পাতায় বিরিয়ানি-মুরগা চাঁপ
আলোয়ান গায়ে খুঁজে বেড়াই, বস্ত্রহীনের  উত্তাপ।।  


কুমারী সকাল, রোদেলা দূপুর, ভরা প্রেমে গোধূলি মাতে
বে হিসাবী খেলায় কাটছি আঁচড় আনন্দ ঘন মৌতাতে।।

বাথ রুমে বসে পাহাড় দেখি তুষার ঝরাই মনে
বিড়ির টানে সময় কাটে, ছন্দে ভরা কাব্যিক কত প্রাণে।।


পদ্ম পাতায় ভোরের শিশির টলটলে ঘুম চোখে
স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন ভাসাই, স্বপ্নের কাজল মেখে।।  


ধর্ম নয়, অর্থ নয়, কর্মই দেখায় চলার মাঝেই পথ  
ভালোবাসাই মেলায় মোদের থাকলেও বা অন্য মত।।  


কেউ বা দেখে শুক্ল পক্ষ, কেউ বা দেখি দুখের কৃষ্ণ অক্ষ  
ভেসে যাওয়া তরীতে- জীবন ধারাপথের  ওঠা পড়া লিপি
এসো বন্ধু - হাত মেলাই যেমন পারি তেমন লিখি  
সব্বাই মোরা কবি, কেহ নই কারো প্রতিপক্ষ।।