সে এক মিঠে কড়া রোদে শীতের মধ্যাহ্নে
অলস ভাত ঘুম টাকে সরাতে রৌদ্রে পিঠ
খোলা ছাদে বসে নানা কথা, হাসির আলপনা
তবুও আলসেমি টা ছাড়েনা বিছানায় টানে।।


যে যার বিছানায়  ঊষ্ণ লেপে নিজেকে সঁপে
ডোবে অলস দ্বিপ্রাহরিক নিদ্রার গভীর সুখে
নিস্তব্ধ মধ্য অপরাহ্নে  পক্ষীকুল মত্ত কুজনে
হয়ত স্বপ্ন ভাসে পরকিয়া পাশা পাশি দুটি মনে।।


ঘুম ভাঙ্গে আচমকাই আদর পেয়ে নিচের ওষ্ঠে
বুঝতে পারি তাম্বুল রাঙা দুটি কমলা ঠোঁটে ধরা আছে
বিহ্বল আঁখি অবিশ্বাসে নিশ্চল, ডোবে গাড় ঊষ্ণতায়
এই ও ঘরে চল আমার পাশে,  আয় চোলে আয়।।


ঘোর কাটে, সে এক ২১শের উদ্দাম অস্থিরতা
সংসারী, তবু তার ২৬শের আল্লাদে দিয়ে সাড়া
অপরাহ্ন থেকে সন্ধ্যা সে যে ২১শের প্রথম অভিজ্ঞতা
আজো ঘোরে ফেরে অনুভবের চোর কুঠুরিতে ভরা।।


আজ, সে ২৬ অনেক দূরে লক্ষ যোজন পেরিয়ে তারার দেশে
শুধোয় কিরে কেমন আছিস,আমায়  গেছিস ভুলে
ঠোঁট চাটি মনের অজান্তে সেই তাম্বুল রসের স্বাদ পেতে
হোলেই বা স্বীকৃতি হীন, কি যায় আসে, বেঁচে থাক অনুভবে।।