যুগে যুগে শান্তির বারি ঢালিয়াছ দু হাত ভরি
কখনো অঙ্কশায়িনী, কখনো বা নৃত্যপটিয়সী
ইন্দ্রসভা হতে মর্তের রাজ দরবারে বিলিয়ে
নিজেরে, হলেই বা অপ্সরা বা মর্ত বাসী স্বৈরিণী
সুখ নেই, নেই দুঃখ, কান্নায় মানা সদাই হাসি হাসি
কাজ করে যাও, ফলের আশা, ভালোবাসা, মমতা
নহে কদাপি নহে, তুমি আজ্ঞা বহ, তুমিও শুধুই নারী।।


বেদনা শিক্ত বাতাসের শ্বাস উঠিলেও হৃদয় ফুঁড়ে
কে রাখে খবর তার, নৃত্য ঝংকারে হৃদয়ে ঝড় তুলে
নিজেকে বিলাও উজাড় করে শয্যাসঙ্গিনী স্তব্ধ অর্ধরাতে
দেব-দানব অথবা মানবে  নাহি ভেদাভেদ না অজুহাতে
কোন অভিশাপ অথবা কোন চক্রান্তের কালচক্রে জীবন
কামশরে জর্জরিত পুরুষের কন্ঠলগ্না হয়ে করাও সাধন
ফুটে থাক মর্তের বাগানে নন্দনের পারিজাত রুপে।।