কখনো মাতা, কখনো কন্যা, হয়েছ বধূ অনন্যা
তবু কেন পুরুষ পরিচয়ে বাঁচতে হয় তোমায়
অসীম মমতায় সুস্থির কর অস্থির অশান্ত সময়
কেন তবু  নাহি পাও  অর্জিত নিজ পরিচয়।।


বল হে ধীবর কন্যা, কৃষ্ণদৈপায়ন ব্যাস, যিনি তোমার সন্তান
দশ মাস দশ দিনের অনন্ত ত্যাগ, তবু পেয়েছ কি যথা সম্মান,
মহাভারত দিয়েছে বীরের সম্মান  হয়েছে আলাদা খণ্ড
হে দ্রোণ জননী ঘৃতাচী কেন নেই সেথায় তব নাম গন্ধ ।।


ধ্যান মগ্ন ঋষি হতে দুর্জয় প্রতাপী রাজন করেছে পানী গ্রহন  
তবু কেন উপেক্ষিত যুগে যুগে, মহাভারত হতে রামায়ন
বল, তুমি ছাড়া হত কি আলো দেখা শকুন্তলার, হতো কি তৃপ্ত
কখনো দেবরাজ ইন্দ্র, মুনি বিশ্বামিত্র  অথবা  রাজন দুষ্মন্ত ।।


জাগো মাত নিশঃব্দে, অধিকার ছিনিয়ে নাও তোমার
অতীত থেকে বর্তমান কেন হয় মহিমা তব উপেক্ষিত
হান কুঠারাঘাত, ভেঙ্গে কর খান খান, অবসান হোক
সকল উপেক্ষার, দয়া নয় উদ্ভাসিত হোক পরিচয়ে মাতৃত্ব।।