নে অনেক হয়েছে, তুই কি এখনো থাকবি  চুপে
এখনো থাকবি বসে অন্ধ হয়ে অপার স্নেহে
গোকুলে বাড়তে বাড়তে সে এখন তোর দরজায়
তোর অবস্থা দেখে ফেটে পড়ছে হাসি-মসকরায়
শুনতে পাচ্ছিস তোর আদরের ধণের পদধ্বনি
অবকাশ নেই ভাবার,  জেনেছে তুই অনেক ঋনি।।


জেগে ওঠ আর ঘুমাবি কত, লাঞ্ছিত হতে আছে কি বাকি
তোর ঐ নির্মল বস্ত্রে আর কত বার মুখ ঢাকবি
রক্তের দাগে দাগে রঙ বদলাচ্ছে আঁচলে বাঁধা কথা শান্তি
অবক্ষের স্রোতে ভেসে যায় তোর ভাবনার আকাশ
অমানুষিক পরিশ্রমের ফসল লুঠ করে যায় শয়তান
মহীরুহ ছায়ায় তাপ এড়িয়ে পরে একটাই মুখোশ ।।


মৃত, ধর্ষিত আত্মা গুলো ফিরছে তোর পিছে পিছে
অবহেলিত মানুষ গুলো এখনো ভাবেনি, তাদের প্রাপ্য
অনুদান দিয়ে কেউ বা গড়ছে সম্পদের পাহাড়
নৃত্যানুষ্ঠানে মাতে ছোট থেকে বড়, কোন যাদুতে
যারা জেনেছিল আপনার জন বলে, তারাই হল নাকি ব্রাত্য
তবুও আশাবাদি, হয়ত তার নাম থাকবে  সাফল্যের খাতাতে।।


আদিবাসি মানুষ গুলোর সরল বিশ্বাস  আর আত্মত্যাগ
সবটাই কি যাবে জলে কেউ বা এখন  সাজার ঘানি টানে
কোন না কোন সংশোধনাগারে, ওরাও ভাবছে
একি হল, কেউ বলে, পচা খালের গন্ধে তবু ছিল ভালো
এখন পড়েছি মহা বিপদে সেই পচা খালেই কুমীর ছেড়ে
খালের ধারে দাঁরাতে পারিনা যদি লেজের ঝাপটা লাগে।