বছর ২৭ বয়স, বেশ লম্বা, মেদ হীন রোগাটে গঠন
হাসি, খুশী, আনন্দ উচ্ছ্ল নাম তার নির্মল
বাড়ি ছেড়ে থাকে অনেক দূরে, সহকর্মী দাদার কাছে
অস্থায়ী পদে ছয় মাসের চাকুরী সেচ দপ্তরে
সুন্দরবনের নদী বাঁধে বর্ষাকালে তদারকির কাজে
মনটা বেশ ভালোই, সবাই কে আপন ভাবে মিলে মিশে।।


সকালে চায়ের পরে বেরিয়ে যায় বাঁধ পরিদর্শনে, পায়ে হেঁটে
বহুরাস্তা, কাদা জল পেরিয়ে খবর নিয়ে দেয় স্থায়ীকর্মী দাদা কে
দিন গুলো কেটে যায় বেশ, ভাবে আজ না হোক, সেও স্থায়ী হবে
এর বেশী আর কি চাই অতি সাধারন বেকার যুবকের কাছে
দেবতায় ভক্তি আছে, আছে শুচি-বায়ু ভাব, রাস্তায় কেউ হাঁচি দিলে
সটান এসে শুয়ে পড়ে, বলে,  হালায় হামারে দেখেই দিছে।।


এই বাড়ির নাতি, বেশ বড়, বছর ১৮ হবে আসে মাঝে মাঝে
তার সাথেও খুবই ভাব জমে, দুই জনে নানান গল্প করে
এক সাথে হাটে যায়, মাঝে সাঝে বেশ রসের কথাও হয়
ইচ্ছা ছিল তার অনেক কিছু, বাদ সেধেছে  রোজগারে
রোজ সকালে বিকালে হরিনাম শোনে, শত নাম করে
যখন মন চায়, কর জোড়ে প্রণাম করে দেবতাদের দেখলে।।


স্নান সেরে, বুক জলে দাঁড়িয়ে রোজই  মন্ত্র উচ্চারনে  
সূর্য প্রণাম সারে, নির্মল  অভ্যাসে এনে ফেলেছে,
এ রকমই এক দিন, সূর্যের দক্ষিণায়ন শুরুর দিকে
নির্মল, এক বুক জলে, অন্যজন স্নান সেরে উপরে
ঘাটে দাঁড়িয়ে  নিজের গা-মাথা মোছে আপন মনে
প্রণাম সেরে চোখ খোলে,  সাথী গামছা খুলে দাঁড়িয়ে।।