রাত প্রায় বারোটা, গভীর ঘুমে এই অখ্যাত গ্রাম
কেবল রাত জাগা কিছু পাখী খাবারের সন্ধানে
গভীর রাতের বুক চিরে অদ্ভুদ একটা ডাকে উড়ছে
যেখান টা দাঁড়িয়ে আছি, সেখান থেকে দেখলে মনে হয়
নদী বাঁধটা পুরো গ্রামটা কে আসীম মমতায় ঘিরে রেখেছে
দূরে আবছা কুয়াশা আর জোস্না মেখে দিকচক্র বাল নিঝুম।।


এখানে শিঊলি নেই, আছে দিগন্ত জোড়া তরুন ধান ক্ষেত
ছোট ছোট শুঁতিতে, ডোবায় দুই রকমের শাপলার ফুল
মাঝে মাঝে কোন মাছের আনন্দে জল উল্টানোর শব্দ
খুব হালকা বাতাসে সুন্দর অনুভুতির শিশির ভেজা শিহরন
ত্রয়োদশীর আকাশে  চাঁদ, অষ্টা দশীর হাসির মত দুষ্টুমি মাখা
ধানের পাতা বিন্ধু বিন্ধু শিশির-চাঁদনি ভারে আধো নোয়া
ভ্রম জাগায়, কোটি কোটি রুপালি পাতের আঙ্গিক।।


পায়ের নিচে দূর্বা, ভেজা ভেজা অনুভুতিতে স্বপ্নরা ভাসে
পূর্ণ জোয়ারে পাল তুলে কোন মাঝি দখিন থেকে ঊত্তরে
ভাসে, হয়ত সকালে পৌঁছাবে দূরের কোন হাটে
প্রতিটা দাঁড়ের কালোপাটা, জোস্নালোকে খোলা তলোয়ার
দুই দাঁড়ি মুখ বুঝে ঊজানে দাঁড় টানে, মাঝি, মাঝে  মাঝে
গেয়ে ওঠে উদাস ভাটিয়ালি, মন মাঝিরে কুলে ভেড়া তরী।।