বছর তিনেক বয়স ছেলেটার, সকালে উঠেই বায়না
ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদেই চোলেছে, মুর বেলুন কুথা
ওর বড় দিদি,  বয়স বছর পাঁচেক, ভাই কে বলে
এ তু কাঁদছিস কেনে, বাপ বুলছে তো দিবে দিবে
এ লিমাই তু কাঁদছিস কেনে, এ মা, ইডা তো থামেলাই
তু লিয়ে যাবি ইডারে, হামার মাথা খাবেক সারা দিনে।।


ওদের মা খালে বাসন ধুতে গেছে, ঘরের পাশে
একটু পান্তা মুখে দিয়ে দখিন পাড়ায় কাজে যাবে
মা- বাবা দুজনেই যাবে সারা দিনের মত
নিড়ানির কাজে  আশ্বিনের ভরা ধানের ক্ষেতে
ছেলে-মেয়ে দুটাকে পান্তা দেয়, নিজেরা ও খায়
নদীর ঘাটে লঞ্চ লাগলে তবে ছুটি, চার টা বাজবে।।


টুসি আর নিমাই, এরা দুই জন খেলবে, মাটিতেই ঘুমাবে
আর কেউ নেই, ওরা দুজনেই, মা বাপ না আসা পর্যন্ত
খিদে পেলে আবার পান্তা খাবে, রাতে মা রান্না করবে
ছেলেটা ঘ্যান ঘ্যান করে, এ বাপ, মুর বেলুন কুথা
ওদের মা তাড়া লাগায়, আরে বেলা হইছে ছুড়ান দে
বাপ বলে, এখুন থাম , সাঝেঁর বেলা পূজায় যাব।।


ওরা দুই জন বেরিয়ে পড়ে, পিছনে থাকে টুসি - নিমাই
ফেরার সময়  বিলের শাপলা, শাক তুলে ফিরবে, রাতে রান্না হবে
আজ ওরা বাচ্ছা দুটি নিয়ে হাটখোলায় পূজা দেখতে যাবে
আড়ম্বর হীন একটাই পূজা হয় তবে এখন  লাইট জ্বলে
দূর্গা দেখবে, আলুর চপ খাবে, নিমাইকে বেলুন দিবে
টুসি আর ওর মা লাল চুড়ি, ফিতে, কানের দুল  কিনবে।।