কতই বয়স তার ১৩/১৪ হবে গ্রামের ছেলে
যা পায় তাই দিয়েই উদরপুর্তি করেও সুঠাম দেহ
নানা কাজ করে , পরিবারে সুবিধা হবে বোলে
গোবর কুড়াতে যায় মাঠে,ঝরে পড়া পাতা কুড়ায়
বাঁশের গোড়া তুলে আনে কুড়ালের ঘায়ে, জ্বালানি হবে
গরুর খাবার দেয়, ছাগল পালে,  ছাঁকা দিয়ে মাছ ধরে
চাষের কাজ করে, সবজী ফলায় বাড়ীর লাগোয়া জমিতে
তবুও অদম্য ইচ্ছার জোরে ভালোবেসে লেখা পড়া করে।।


নিস্পাপ মুখে হাসি লেগেই আছে, শিক্ষিত মানুষ জন বলে
আরে তুই তো চাষার ছেলে, কি করবি লেখা পড়া কোরে
তবুও সে করে, ১/৪ ভাগ মাহিনায়  হাই স্কুলে পড়ে
প্রতি বছর ভালো ভাবে পাশ করে, সহৃদয় গুনী  মানুষ জন
একটু আধটু পড়িয়ে দেন পরিক্ষার আগে আগে অসুবিধা হোলে
কোন ক্ষোভ নেই তার, যে যা বলে করে দেয়, চালন, কুলো
সেরে দেয় পাড়ার মানুষের, আরো কত কাজ করে ভালোবেসে
সবাই কেই আপন ভাবে, কেউ তার পর নয় যেন চির আপন।।


এভাবেই ১৮ পেরিয়ে যায়, গ্রামের কয়েক জনের মধ্যে সেও আসে
গ্রাজুয়েট হয়, স্বপ্ন দ্যাখে অনেক, বাড়ীর সবাই কে ভালো রাখার
দূখ্যের দিন গুলো পিছু ছাড়েনা, তবুও ভীষনই নির্বিকার
অনেক পরিশ্রম করে, ভাবে আরো এগোতে হবে, কিন্তু অর্থাভাব
এগুতে পারেনা, এই প্রথম সে কাঁদে, কে সাহায্য করবে তাকে
শহরের কাছে আত্মীয়ের বাড়ীতে আশ্রয় পায়, কাজ-পড়া দুটোই
চলে এখানে থেকে, তারপর অন্য ছবি, সবাইকে ভালো রাখে
চেস্টা করে স্বাভাবিক থাকার, এগিয়ে যায় সকলের কাজে,
মন টা অন্য তানে বাঁধা, কাহারো সমান নাহি যায়, তাকে মনে করায়।।