বুঝবে কি অন্য প্রানের কথা, যে তোমাকে সাজায়
আমার জন্ম চোখে না পড়া বিন্দু বিন্দু কোষ থেকে
কেবলি কচি পাতায় আমার পুস্টি, বেড়ে ওঠা জীবন চক্রে
নিজেকে গুটিয়ে ফেলি নিজের সৃ্ষ্ট চক্র বুহে নূতন সৃ্ষ্টির তাগিদে
তারপর আর একটা পর্যায়ের আগেই প্রান ত্যাগ ফুটন্ত জল পাত্রে।।


এর পর কোন এক গ্রাম্য নারীর হাত ও পেলব উরুর পেষনে
নিস্পেষিত হতে হতে আর এক রুপ, তার জীবিকার স্বার্থে
আমার অতীতের প্রতিটি পর্দা উন্মোচিত হয় একটা একটা করে
তাতেই আমার সুখ, স্বপ্নের ভালো লাগা, তোমাকে সাজাতে পেরে
আর অনেকের জোটে ভাত, কারো বা বাড়ে সম্পদ, এই ত্যাগে ।।


অনেক ধাপ, অনেক রং, অনেক কুশলী মানুষের  হাত-পায়ের
অবিশ্রান্ত  পরিশ্রম, শৈল্পিক উদ্ভাবন, দিনে রাতে দড়ি টেনে চলা
কাঠে কাঠে ঠক ঠক আওয়াজ, মেপে জুকে নানা অবয়ব
খুশীতে মাতো, সুন্দরী সেজে ওঠো, বিচার কর  কেমন হলো
আমার আত্মা তাতেই খুশী, তোমার সুকুমার অঙ্গের ছোঁয়া পেয়ে।।


তোমাদের বিদেশী মুদ্রার সঞ্চয় বাড়ে, আমার প্রানের বিনিময়ে
কেই বা বোঝে সেই গ্রাম্য বধুর মনের কথা যে অন্ধকারেই থাকে
কবিতা লেখ, তার রঙে পুলকিত হও - ওড়া দেখে ক্ল্পনায় ভাস
হয়ত ভাব আরো অনেক কিছু যা আমার আত্মার অজানা
তবু বুঝতে পারি, আমাকে দেখলে কেউ একটু ও ভালোবাসবেনা।।