দৃষ্টির অগোচরে থাকি
সদা হাসো মিটি মিটি,
দেখি নাই কায়া তব
মায়া-ছায়া - অনুভব-ও,
খেলিছ লয়ে আকিঞ্চনে
অহ-রহ ভাঙ্গিছ - গড়িছ
করিছ প্রলয় -ও-সৃ্ষ্টি ।।


ইহকাল - পর-কাল  লয়ে করতলে,
করিছ নৃত্য ওগো মহাকাল
চালিছ পাশা - সুনিপন চালে,
সাধ্যি কার, বোঝে অভিলাষ
কি লিখিছ -কার ভালে  ।।


বলো কোন নক্ষএ মাঝে বসি,
হাসিছ অট্ট -হাসি...
দেখিয়া কর্ম , যাগ, যজ্ঞ, ধর্মা-ধর্ম
সাধু - শয়তানের কারসাজি ।।


কেহ খুঁজে ফেরে - একটুকু বাসা,
কেহ খুঁটে খায় অন্ন,
কেহ বা প্রাসাদে বোসে নাম-গান করে-আজান পড়ে,
কেহ করে শুধু অনন্ত প্রশ্ন ।।


চোখের জলে কাহারও বা ভেসে যায় বুক,
সব দেখে - কেহ বা রয় নির্বাক-মূখ,
দুচোখে দ্যাখে কেহ বা স্ব্প্ন অসীম,
কাহারও  আশা মাথা কুটে মরে,
প্রাণ হীন নিস্ফল পাথরে ।


কেহ বা ছ্ড়ায় অঞ্জলি ভরে ফুল,
কেহ বা চড়ায় শিরনি, চাদর
পথ হারিয়ে কেহ খুঁজে ফেরে কূল ।।


ছোট্ট যে পাখি - তাকেও দিয়েছ প্রাণ,
গান গেয়ে যায় অসীমের মাঝে
আপন খেয়ালে - দু পাখা মেলে,
না চেয়েই কোনো প্রতিদান ।।


বল, কোন সে ইচ্ছা যোগে, ভাসাইছ ইহলোকে
পুরাইতে বাসনা-কামনারে কোরে সাথে,
ধনী - নির্ধন - সাধু - শয়তান,
জড়- ষড় - ষণ্ড - ভন্ড,
চলিছে সবাই - পথ না জেনে
এওকি তবে - তোমারই নিদান ?


অনন্ত পথের ও-পারে কি আছে
ভাবনায় পড়েনা ধরা,
নিয়ম মেনে হয় কি সকাল-সন্ধ্যা
না-কি কেবলই আঁধার ভরা ।।


দু-হাত তুলে ওপরের পানে
নানা সুরে আকুতি জানায়,
কি তার অর্থ - কি-বা ফল তার
কে যোগায় প্রেরণা - প্রতিটি প্রাণে ?


বুক ভরা হাসি নিয়ে ফোটে কতো ফুল ,
জানে কি ওরা ঝরে যেতে হবে
বিলায়ে নিজেরে অন্যের ত্বরে
মিলিবেনা - কোন কুল ।।


বলো, কেমন কোরে করিছ হিসাব
কোথা হোতে আসে শক্তি এতো,
কোন মেঘ পুঞ্জের- আড়ালে থাকি
করিছ কর্ম - অনন্ত-কাল - অবিরত ।।