চোখ খুলেই দেখেছি কান্নার ঝর্ণা তামাসার এই দুনিয়া জুড়ে  
যা কিছু ছিল; আছে ভালো,  কারা যেন রেখেছে দখল করে
হিস হিস হাসিতে, লকলকে চাহনিতে সব চেটেপুটে খায়
ওরাও নাকি সামাজিক জীব, তবু নেই কোন সামাজিক দায়।


ভগবান নাকি মেহেরবান  আসমানে বাস, জন্ম থেকেই শুনে আসছি
কারা কারা দেখেছে তাকে, প্রশ্নটা করব কাকে সেটা শুধু ভাবছি
গিয়েছি তাদের কাছে, রাজপথে মন্দির মসজিদে যারা নিত্য আসে যায়
জ্ঞানের গনগনে আঁচে তারাও এড়িয়ে গিয়েছে, ঝেড়ে ফেলতে সব দায়  
ভেষজ উপাদানে লাল লাল চোখে যারা কল্কে ফাটায়, স্থির হয়ে বসে
বিদঘুটে হেসে মাথা নেড়ে বলে, বেটা কেয়া কাম, জিও না মজাসে
যত যাই ছুটে হেঁটে দানা পানি যোগাড়ে, দেখি অগুনতি আরো ছুটছে আগে
মারামারি চিৎকারে দখলের নরক গুলজার, কিছু না পড়লেও ভাগে।


শুনেছি হাসির কথা, সুখের কথা, পোড়া চোখে দেখিনি তারে  কোনদিন
ধুলোমাখা শরীরে সময় থাকে না থেমে, ভালবেসে ডাকে মাটি প্রতিদিন
তবুও আশা নিয়ে বাঁচি, ছুটে যাই বার বার, অমোঘ আকর্ষণে টানে মায়া
চোখ মেলতেই সঙ্গী হয়েছে ঝলসানো রোদ, পাইনি কোথাও এতটুকু ছায়া।


সোনারপুর
১৫/১১/২০২১