নিবিড় সবুজের কোলে অমলিন সবুজ স্বপ্নের হাসি
দিন মাস বছর জুড়েই চলে কচি কচি হাত নাড়া  
কেউ থামে না এখানে, উড়ে আসা কিছু ধুলো ছাড়া
হয়ত কোন আগুন্তকের সহসা অনুভবে পড়ে ধরা  
সাত সকালে শুরু হওয়া দিন দুপুর গড়াতেই ঘরে ফেরা  
বলার সুযোগ নেই, তোমাদের নিষ্পাপ হাসি ভালোবাসি।      


শাল সেগুন মহুয়ার স্নিগ্ধ ছায়ায় নতুন আশার ভিড়    
কেহ কেহ গণ্ডী পেরিয়ে সময়ের সাথে পা বাড়ায়
হয়ত কেহ অনটনের ধকলে আগাছার ঝাড়ে পথ হারায়  
কাছে দূরের পথ পেরিয়ে দলে দলে ওরা আসে
সবুজ বনভূমি মুখরিত হয় কচি কন্ঠের মিষ্টি সুবাসে
পায়েচলা পথের পাশে থাকা সবুজ সবুজের ছোঁয়া পায়.।  


পুরনো পাতায় হয়ত আছে হলুদ রোদ্দুরের কান্নার দাগ  
সে দাগ মুছতে এগিয়ে চলেছে নতুন সবুজের অভিযান    
অতীত থেকেই শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে চলা ভুলে অভিমান
সুন্দর আগামীর লক্ষ্যে চলা অরণ্যের গন্ধ মেখে গায়ে
প্রতিটি সকালের ছবি হোক মধুর বনপথে কচি পায়ে      
নতুন আলোয় আগামীর প্রভাত সবুজ হাসিতেই ভরে থাক।


সোনারপুর
২৫/১১/২০২৩
  


বিদ্রঃ কাব্যের পটভূমি।  
অরণ্য ঘেরা একক লাইনে ট্রেনে যেতে যেতে চোখে পড়ে বাচ্ছাদের স্কুল। বাচ্ছারা স্কুল থেকেই হাত নাড়া দিয়ে ট্রেন যাত্রীদের শুভেচ্ছা জানায়। সহযাত্রীদের সাথে আলাপ করে জানলাম এখানে স্কুল শুরু হয় সকাল ৭ টায় এবং দুপুর দেড়টায় ছুটি হয়ে যায়। স্কুলের কাছে কোন ষ্টেশন নেই, সারা দিনে মাত্র দুই জোড়া ট্রেন যাতায়াত করে। নিশ্চয়ই অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষ থাকে এই অঞ্চলে। কাছাকাছি তেমন অট্টালিকা ও চোখে পড়েনি। থাকলেও ট্রেন থেকে দেখা যায়নি বা হয়ত আছে সবুজের অন্তরালে। রেল লাইনের কাছাকছি সাপ্তাহিক হাটের দেখা মিলেছে। জানতে পারলাম এখানে মাছ খুবই সস্তা। এই কাব্য ঐ শিশুদের উদ্দেশেই লেখা। নিকট ভবিষ্যতে সময় পেলে নিশ্চয়ই ওদের কাছে যাবো যত পরিশ্রম হোক।